Ads

মেয়েরা হলো পরিবর্তনের একক

সারমিন ভুঁইয়া

মেয়ে মানুষ!মেয়েরাও কি মানুষ?নাকি ভিন্ন প্রজাতি! জন্মের পর থেকে প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে খাওয়াতে আর মানাতে মানাতে মরে যাবার পর তার লাশ টার ভেতর কিছু অবশিষ্ট থাকে নাকি সন্দেহ হয় আমার! বাইরে ঠিকঠাক, ভেতরে একটা ফাঁপা কাঠামো ছাড়া কিছুই থাকেনা ওখানে…

বয়সন্ধিকালে অন্যান্য পরিবর্তন তো থাকেই! একটা মেয়ে সব চেয়ে বড় ধাক্কা টা খায় প্রথম যখন পিরিয়ড শুরু হয় তার।এই ভয়ানক পরিবর্তন তার জীবন কতটা এলোমেলো করে দেয় সেটা একটা মেয়েই জানে!এই সময়ে তার যে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং দরকার সেটা তো দূরে থাক, অনেক পরিবার রীতিমতো আতংকগ্রস্থ করে ফেলে মেয়েটাকে!

দীর্ঘদিনের চেনাজানা পরিবেশ আর কাছের মানুষ ফেলে সমাজের নিয়ম রক্ষায় যখন শ্বশুরবাড়ি যায়, সেখানেও আরেক ধাপ পরিবর্তন অপেক্ষা করে তার জন্য।বিয়ের পর প্রথম দিন থেকেই তার জন্য সেখানে কি অপেক্ষা করছে সেটা একমাত্র উপরওয়ালা ই জানেন।পারিবারিক পছন্দ বা নিজে ভালবেসে, বিয়েটা যেভাবেই হোক না কেন!পরিবর্তন তো তাদের জীবনের অংশ! সন্তান জন্ম দেয়ার আগে বা পরে স্বামীর বদলে যাওয়া দেখতে দেখতে তাকে মুখোমুখি হতে হয় আরও এক ভয়ানক পরিবর্তনের! মাতৃত্বকালীন হরমোন চেঞ্জ!এই সময় টা যে সামলে উঠতে পারে সে জয়ী,যে পারেনা সে হয় নিজে সুইসাইড করে,নাহয় নিজের সন্তান কে মেরে মেরে।এমন নজিরও আছে। এই সময়েও ৯৫% মেয়ে উপযুক্ত সেবা বা ভালবাসা পায়না।মেয়ে হয়ে জন্মেছে। মানাতে তো হবেই! মানিয়েও নেয় তারা! বেশ ভালভাবেই উতরে আসে।

পরিবর্তন পরিবর্তন আর পরিবর্তন! দশ মাস দশ দিন গর্ভে রেখে অবর্ননীয় কষ্ট সহ্য করে, সন্তান
কে বড় করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার পর জীবনের লাস্ট পরিবর্তন আসে তার জীবনে।সেটা হলো সন্তানের পরিবর্তনের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেয়া।

মেয়েরা হলো পরিবর্তনের একক। মানুষের পক্ষে কি সম্ভব এত পরিবর্তনের মধ্যে জীবন পার করা? মেয়েরা দিব্যি পারে,কারণ তারা তো মানুষ না….

আরও পড়ুন