Ads

যেমন ছিলেন বেগম রোকেয়া

।। ফারহানা শারমীন জেনী ।।

আজ বাঙালি জাতির নারীমুক্তির অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪১ তম জন্মবার্ষিকী এবং ৯৩ তম মৃত্যু বার্ষিকী।

বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষার আলোকবর্তিকা নিয়ে ছুটে এসেছিলেন এই বঙ্গে।সাড়ে তিন বিঘা লাখেরাজ জমিদার বাড়ির জমজমাট সুখ শান্তি এবং অলঙ্কারের মাঝে তিনি মুক্তির দিশা খুঁজে পাননি পেয়েছিলেন দাসত্বের শৃঙ্খল। তিনি সঠিক ধর্মীয় জ্ঞান, সামাজিক জ্ঞান এবং পারিবারিক জ্ঞান লাভের মধ্যে দেখেছিলেন নারী মুক্তির দিশা। চৌদ্দশত বছর আগে কন্যা সন্তানকে প্রোথিত করা হতো মাটির নিচে যা বন্ধ করেছিলেন মহামানব আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।ঠিক তেমন বেগম রোকেয়া নারীশিক্ষার উন্মোচনের আগে মেয়েরা শিক্ষা হীনতার অন্ধ কূপে প্রোথিত হতো যা মাটি চাপা পড়ার চাইতে কোন অংশে কম নয়।

বেগম রোকেয়া ছিলেন একজন শালীন ধর্মপ্রাণ মহীয়সী,তিনি উচ্ছৃঙ্খলতা কখনও সমর্থন করেননি।তিনি নারী স্বাধীনতা বলতে নারীকে বলগা হীন হতে বলেননি এবং পুরুষকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যেতে বলেননি।তিনি পুরুষকে তার সহযাত্রী বলেছেন। পুরুষ মহিলা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একে অপরের পরিপূরক হয়ে এ সমাজকে আলোকিত করতে চেয়েছেন। তিনি তার প্রথম বই তার দাদাকে উৎসর্গ করেছিলেন এবং তার স্কুলের নাম তার স্বামীর নামে রেখেছিলেন। কারণ তার দাদা এবং স্বামী দুজনেই তার এই আন্দোলনের প্রেরণা এবং সহায়ক শক্তি ছিলেন।

আজকের বালিকা,কিশোরী, যুবতী এবং নারী সকলের বেগম রোকেয়ার জীবনী সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ বিশেষ জরুরী। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘অবরোধ বাসিনী’, সুলতানার স্বপ্ন, মতিচূর,পদ্মরাগ। এছাড়া বাংলা একাডেমি থেকে তার “রোকেয়া রচনাবলি ” খন্ডাকারে প্রকাশ পেয়েছে।

আমরা নারীমুক্তির অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।

লেখকঃ লেখক ও শিক্ষক

আরও পড়ুন