রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বরং নারীদেরকে মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ করাকে ‘নিষেধ’ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমরা আল্লাহর বান্দীদের আল্লাহর মসজিদে যেতে নিষেধ করো না।” [সহীহ বুখারী: ৯০০]
একবার আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা মসজিদে নববীতে কয়েকজন নারীকে নামাজ পড়তে দেখেন। তাদেরকে মসজিদে দেখতে পেয়ে তিনি মন্তব্য করেন:“মহিলারা (সাজসজ্জার) যেসব নতুন পন্থা বেছে নিয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এগুলো দেখলে বনী ইসরাঈলের নারীদের মতো তাদেরকেও মসজিদে আসতে নিষেধ করতেন।” [সহীহ বুখারী: ৮৬৯, সহীহ মুসলিম: ৮৮৫]
“তোমাদের কোনো নারী যদি মসজিদে যাবার ইচ্ছা পোষণ করে, সে যেন সুগন্ধি মেখে না আসে।” [সহীহ মুসলিম: ৮৩৩]
হাদীসে নারীদেরকে ফিতনা বলা হয়েছে। ফিতনা তো আপন সন্তান, সম্পত্তিকেও বলা হয়েছে। তাই বলে কি কেউ সন্তান জন্ম দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন, সম্পদ উপার্জন করা বন্ধ করে দিয়েছেন।এগুলো তখনই ফিতনা, যখন আপনি সেগুলোর মিসইউজ করেন বা সেগুলো আল্লাহর পথে আপনার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়।‘নারী ফিতনা’ বলে যে হাদীস দিয়ে আপনি নারীদেরকে মসজিদে যেতে বাধা দিচ্ছেন, নিষেধ করছেন, ঠিক সেই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু, সেটার সর্বপ্রথম শ্রোতা ছিলেন সাহাবীগণ।
// উম্মে হুমাইদ (রা) সম্পর্কে ইবনে হিব্বান ও আহমদ কর্তৃক উদ্ধৃত একটি হাদীস উল্লেখ করা হয়েছিলো— “তোমার জন্য জামায়াতে নামায পড়ার চেয়ে ঘরে নামায পড়া উত্তম।” হাদীসটি সহীহ, কিন্তু উদ্ধৃত বর্ণনাটি অপূর্ণাঙ্গ। প্রচলিত বর্ণনাগুলোতে হাদীসটির প্রেক্ষাপট ও পূর্ণাঙ্গ ঘটনা ব্যাখ্যা করা হয়নি।
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন:“তোমাদের জিহ্বা দ্বারা বানানো মিথ্যার ওপর নির্ভর করে বলো না যে, এটা হালাল এবং এটা হারাম। নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর ওপর মিথ্যা আরোপ করে, তারা সফলকাম হবে না।” [সূরা আন-নাহল ১৬: ১১৬] আল্লাহ যা হারাম করেননি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পারসেপশন থেকে সেটাকে হারাম বলার এখতিয়ার কারো নেই। তিনি যতো বড়োই স্কলার হন না কেনো!
কিন্তু, যেসব জায়গায় নারীদের যেতেই হয়, সেসব জায়গায় নারীদের নামাজের ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে। সেটার জন্য অন্তত আমাদের প্রজন্ম প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এসব সামাজিক সংস্কার রাতারাতি হবে না।
মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সমাজ,পরিবার ও আত্মউন্নয়ন মূলক অসাধারণ লেখা ও আর্টিকেল পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi এ লাইক দিন।
এবং প্রিয় লেখক ! আপনার পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে- [email protected] ও [email protected]
প্রিয় লেখক ও পাঠক আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম এ যুক্ত হয়ে আমাদের সাথেই থাকুন ।