Ads

দুই চাকার সাইকেল

আরিফুল ইসলাম

ইসলামের পর্দার বিধানের সামাজিক উপকারিতা হলো ভদ্রতা ও শালীনতা। মুসলিমরা (নারী-পুরুষ) যখন পর্দা মেনে চলবে, তখন সমাজে শালীনতা বজায় থাকবে। সমাজে মেনে চলার দিক থেকে পর্দাকে তুলনা করা যায় দুই চাকার সাইকেলের সাথে। সাইকেলের দুই চাকা ঠিকমতো চললে তবেই সাইকেল চলবে, নতুবা না। ইসলাম ছেলেদের ক্ষেত্রে যেমন দৃষ্টি সংযত করতে বলেছে, মার্জিত পোশাক পরতে বলেছে, তেমনি মেয়েদেরকেও দৃষ্টি সংযত করতে বলেছে, পোশাকের ব্যাপারেও গাইডলাইন দিয়েছে। ইসলামে পর্দার বিধান ছেলে-মেয়ে, নারী-পুরুষ দুজনের জন্যই প্রযোজ্য।

একজন মেয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবার সময় যতোই অশালীন পোশাক পরুক না কেনো, তাতে করে একজন মুসলিম ছেলের কাছে তাকে দেখা ‘জায়েজ’ হয়ে যায় না। ইউটিউব, ফেসবুকেও একই কথা। একজন ছেলে চাইলেই সার্চ দিয়ে সুন্দরী মেয়েদের প্রোফাইল ঘুরে আসতে পারে। Just because, ঐ মেয়েগুলো ইসলামে পর্দার বিধান মানছে না, তারমানে এই না যে তার না মানাটাও জাস্টিফাইড।

কিয়ামতের দিন জিজ্ঞাসাবাদ হবে আলাদা-আলাদা। সে কেনো মানে নি, তার জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে। আমি কেনো মানি নি? এই প্রশ্নের জবাবে এটা বললে হবে না যে, সে মানে নি, এজন্য আমিও মানি নি।

বিভিন্ন নায়িকা, নারী এক্টিভিস্টদের পোস্ট নিউজফিডে আসে। সেসবে আমার হয়তো ‘লাইক’ দেয়া থাকে না। কিন্তু, আমার ফ্রেন্ডলিস্টের কারো কমেন্টের ফলে সেটা আমারও নিউজফিডে আসে।
কমেন্ট পড়তে গিয়ে দেখি, ফ্রেন্ডলিস্টের ঐ সো-কল্ড দা’ঈ ঐ নায়িকার কমেন্টে নসিহত করছেন পর্দা করার জন্য!
কেউ কেউ তো কোনো নায়িকার ছবি শেয়ার দিয়ে বলেন, “দেখুন কী বেপর্দা মহিলা!”

সেদিন দেখলাম একটি পেজের কমেন্টবক্সে মজার কমেন্ট। সম্ভবত কয়েকজন নারী কোনো একটা প্রোগ্রামে কথা বলেছিলেন। তো, পুরো প্রোগ্রাম দেখে একজন ছেলে মন্তব্য করলো, “সবই ঠিক আছে, কিন্তু নারীদের এভাবে লাইভে আসা ঠিক?”
পর্দাকে যখন এক পক্ষের উপর ফরজ আর আরেক পক্ষের উপর মুস্তাহাব/নফল বানিয়ে ফেলবেন, তখন সামাজিক পর্দার উপকারিতা ঐ সাইকেলের মতো হবে না। সাইকেলের এক চাকা যতোই ঠিক করুন না কেনো, আরেক চাকা ঠিক না হলে সেটা চলবে না।
ইসলামের পর্দার বিধানের সামাজিক সুবিধা পেতে হলে দুই চাকার সাইকেলের মতো দুই পক্ষকেই মেনে চলতে হবে।

লেখকঃ কলাম লেখক

আরও পড়ুন-

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেনো প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো?

আরও পড়ুন