তমার চকুরীর বয়স বছর ঘুরলো। পদোন্নতি না হলেও চলা ফেরার উন্নতি চোখে পড়ার মত। স্বামী-স্ত্রী ঘর থেকে বেরোতে বেরোতে নীলয় বললো
-আজকাল তোমার কথার গন্ধ বদলে গেছে; অবশ্য গন্ধ না বলে ঘ্রাণ বললে কথাটার যথার্থ রূপ প্রকাশ পায়।
নীলয়ের এসব অহেতুক কথা তমা কানে তোলে না। সে চৌকাঠ পেরোলো।
তমার চাকরীর প্রথম দিকে নীলয় বের হয়ে রিক্সা আনলেই তমা ঘর তালা দিয়ে বের হতো। ইদানিং অধিক ব্যস্ততার কারণে তালা বন্ধ এবং খোলার দায়িত্বটা হাত বদলেছে।
নীলয় দ্রুত হেঁটে তমার পাশে গিয়ে বললো
-যেদিন তোমর শরীরের গন্ধটা বদলে যাবে, আমি তোমার ভাগ্য বদলে দেবো। তোমার শরীরে জড়িয়ে দেবো আটপৌরে সাদা থান। শুনেছি ওটা নাকি সকল ঘ্রাণ শুষে নেয়।
নীলয়ের এসব অহেতুক গা জ্বালা ধরা নোংরা কথা এড়াতে, তমা প্রায়ই ভিন্ন রিক্সা নেয়।
ছ মাস না যেতেই তমার ভাগ্য বদলেছে, দ্বার বদলেছে, শরীরের ঘ্রাণও। তবে শাড়ীর রং বদলায়নি।
সমস্যা একটাই! একাকিত্বের নিরব ফ্লাটে কোন কোন রাতে বাতাস বলে ওঠে- “হাফগেরস্ত”
মঈনুল করীম- কবি ও সাহিত্যিক