Ads

বন্ধ হয়ে গেল দীপনপুর

ঢাকা প্রতিনিধি

বন্ধু হয়ে গেল জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনের স্মৃতি বিজড়িত বুকশপ ক্যাফে দীপনপুর ।  এলিফ্যান্ট রোডের ২৩০ নম্বর ভবনে (অটবি শো-রুমের উপর তলায়) প্রায় তিন হাজার স্কয়ার ফুটের বড় পরিসরে “দীপনপুর”বুকশপ ক্যাফে করা হয়। ২০১৭ সালে জাগৃতির প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনের ৪৫তম জন্মবার্ষিকীতে এই বুকশপের যাত্রা শুরু হয় ।

জাগৃতি প্রকাশক ও দীপনপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজিয়া রহমান জানান যে বন্ধ হয় যাচ্ছে এই ভালোলাগার ঘর দীপনপুর। ২০১৫ সালে ঘাতকের নির্মম আঘাতে শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে নিহত হন দীপন ।

কবি ও লেখক ফরিদুল ইসলাম নির্জন বলেন-“ বুকের ভেতর কেমন কেমন যেনো বেদনায় হাহাকার করছে।এই দীপনপুর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অনেক কাজের সাথেই আমি যুক্ত ছিলাম। উদ্ভোধন করার আগে আমি নিজে প্রেস রিলিজ লিখেছি। ইনভাইটেশন কার্ড ও প্রেস রিলিজ মিডিয়াতে পৌঁছে দেই স্ট্যামফোর্ড এর স্টুডেন্ট শৈবাল ও রাখীর মাধ্যমে।কতোদিন গিয়েছি, কতো সময় পার করেছি, কতো আড্ডা-আনন্দে সময় কেটেছে অথচো সেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ভাবতেই আমার কেমন যেনো নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জানি না ভাবীর কেমন লাগছে।”

তিনি আরও বলেন-“রাজিয়া ভাবী একজন সংগ্রামী নারী। পেশায় ডাক্তার। স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় টিকিয়ে রেখেছেন প্রতিষ্ঠান। নির্মম ভাবে হত্যা করা হয় দীপন ভাইকে। নিজ সাহস নিয়ে এগিয়ে চলছেন। আমার বিশ্বাস এই সাহসই আবার দীপনপুর চালু হবে। আবার সুদিন ফিরে আসবে। দুঃসময় সারা জীবন থাকে না।

প্রথম আলোর সহ-সম্পাদক আলতাফ শাহনেয়াজ বলেন- “এটা কেবল বইয়ের দোকান আর লেখকদের আড্ডাবাজির জায়গা ছিল না, ছিল একজন মানুষের প্রবল ভালোবাসার সৌধ। শাহজাহান তাজমহল বানিয়েছিলেন, আর রাজিয়া রহমান জলি আপা ‘দীপনপুর’।”

তিনি আরও বলেন-ঘাতকের হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া প্রকাশক ফয়সল আরেফীন দীপন ভাইয়ের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে তাঁর সহধর্মিনী জলি আপা কতটা লড়াই করেই না এই প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু করোনাকাল প্রথমেই খেয়ে ফেলল ‘দীপনপুর’কে। বইয়ের দোকানকে।”

আরও পড়ুন