এগ্রোব্যাক পিটিসিএল (প্লান্ট টিস্যু কালচার ল্যাব) এর গবেষণার গল্প (পর্ব-০১)
মতিউর রহমান
![](https://www.mohioshi.com/wp-content/uploads/2020/05/97487545_3576546879028174_5517724504983339008_o-1-300x300.jpg)
এই ফুলের ইংরেজী নাম Lisianthus. বৈজ্ঞানিক নাম Eustoma grandiflorum । জাপানী ভাষায় তরুকোগিকিও এবং আমেরিকাতে আমেরিকান গোলাপ নামেই পরিচিত।এটি Gentianaceae পরিবারের অন্তভূক্ত গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। বিশেষ ছাটাইকরন ও যত্ন নিলে সেকেন্ডারী শাখা/সাকারের মাধ্যমে এটি পরবর্তী কয়েক বছর ফুল দেয়। এটি মূল কান্ড ও পাতায় বিভক্ত। পাতার রং নীলাভ সবুজ। গাছটি লম্বায় ২.৫-৩ ফিট পর্যন্ত হয়। এটি দেখতে প্রায় গোলাপ ফুলের মত। গত দশক থেকে জাপান ইউরোপ আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ফুলের জনপ্রিয়তা বানিজ্যিক ভাবে বেরেই চলছে। ধারনা করা হয় যে যুক্তরাষ্ট্রের রকি পর্বত এলাকায় এর উৎপত্তি।
“অলোকা” এগ্রোব্যাক এর দেওয়া নাম। আমরা (এগ্রোব্যাক) টিস্যু কালচার এর মাধ্যমে ৭-৮ বছর এটা নিয়ে কাজ করে সফলতার পর আমার “মা” এর নামে নাম করন করি।।
এটি একটি কাট ফ্লাওয়ার। এই ফুলটি দীর্ঘ সময় সতেজ থাকে ফুলদানিতে প্রায় ২৫-৩০ দিন। আর এ কারনেই এটি খুব জনপ্রিয় আর মূল্যবান ফুল সারা পৃথিবী জুড়ে।
![](https://www.mohioshi.com/wp-content/uploads/2020/05/91272339_3455486494467547_5829513167595634688_o-300x225.jpg)
![](https://www.mohioshi.com/wp-content/uploads/2020/05/97993532_647870299126982_721255026248384512_n-300x200.jpg)
বর্তমানে Agroback PTCL বানিজ্যিক ভাবে ফুল টির টিস্যু কালচার অনুচারা উৎপাদন করছে এবং সারা দেশে চারা সরবরাহ করছে। আমারা দুটি জাতের ১০ টি কালচারের কাজ শেষ করেছি। আরো কিছু জাত ও কালচারের কাজ চলছে ল্যাবে।
লেখকঃ ফুল গবেষক এবং এগ্রোব্যাক (Agroback PTCL) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক