Ads

জাতীয় পর্যায়ে আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতায় রানার্স আপ দাউদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়

লাবিব ইসলাম লিওন

জাতীয় পর্যায়ে আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতায় রানার্স আপ হয়েছে রংপুর বিভাগের হয়ে প্রতিনিধিত্বকারী দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার অন্তর্গত দাউদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ।

শুধুমাত্র স্থানীয়দের প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভাগীয় চূড়ান্ত পর্যায়ের খেলাগুলো ঢাকা থেকে সিলেটে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তাতে করে কোনই লাভ হয়নি বলে মনে করেন খেলা সংশ্লিষ্ট অনেকে । স্থানীয় সিলেটিদের প্রভাবও সেখানে বিদ্যমান ছিল। তারা ছোট বাচ্চাদের খেলাটাকে যেন অনূর্ধ্ব-৩০ বানিয়ে ফেলেছিল বলে অনেকের অভিযোগ। এরপর ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে।

অঞ্চল ভেদে চূড়ান্ত পর্যায়ে মোট ৪টি দল টিকে ছিল।
১। রংপুর বিভাগ
২। সিলেট বিভাগ
৩। ঢাকা বিভাগ
৪। বরিশাল বিভাগ

চূড়ান্ত এই ৪ দলের মধ্যে লীগ পদ্ধতিতে খেলা হয়। অর্থাৎ প্রতিটি দল প্রতিটি দলের সাথে একটি করে ম্যাচ খেলে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা দল চ্যাম্পিয়ন বলে গণ্য হবে। দ্বিতীয় দল হবে রানার্সআপ।

রংপুর বিভাগের হয়ে দাউদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম ম্যাচটি ছিল সিলেট বিভাগের সাথেই। মাঠে নামার পর ওদের প্লেয়ার দেখে ম্যাচ রেফারি সহ উপস্থিত কর্তৃপক্ষকে তাদের প্লেয়ার সম্পর্কে অভিযোগ করি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নেয়নি। নিয়ম অনুযায়ী আমাদেরকে খেলা চালিয়ে যেতে হয়।
ম্যাচটি দাউদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় সিলেট বিভাগের বিদ্যালয়ের কাছে হেরে যায় ১-০ গোলে।

পরবর্তী দুটি ম্যাচে ঢাকা বিভাগকে ২-১ এবং বরিশাল বিভাগকে ৪-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে রংপুর বিভাগকে প্রতিনিধিত্বকারী দল ‘দাউদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়’ পয়েন্ট তালিকায় ২য় স্থানে অবস্থান করে রানার্সআপ হবার গৌরব অর্জন করে।
যদিও দাউদপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি, কিন্তু ইউনিয়ন পর্যায়ের একটি বিদ্যালয় জাতীয় পর্যায়ে রানার্সআপ তথা সারা দেশের মধ্যে আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় বিদ্যালয় হবার অর্জনটা কম নয় ।

উল্লেখ্য ঢাকা-সিলেট ম্যাচের আগে ঢাকা বিভাগ সিলেট বিভাগের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন কিন্তু কতৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। এজন্য ঢাকা দল টুর্নামেন্টের মাঝপথে ঢাকা-সিলেট ম্যাচের আগে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নেয়। কর্তৃপক্ষ সিলেট বিভাগকে ফাঁকা মাঠে গোল দেবার সুযোগ করে দেয় ।

 

আরও পড়ুন