Ads

শিশুদের মসজিদমূখী করতে মিরপুরে অসাধারণ উদ্যোগ

।। জামান শামস ।।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মসজিদে নববিতে নামাজ আদায় করতেন, তখন নাতিদ্বয় হজরত হাসান ও হজরত হুসাইন রাযিয়াল্লাহু আনহুমা নবীর ঘাড়ে চড়ে বসতেন। এমনকি তাদের এ খেলায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে, সে কারণে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সিজদায় বিশেষ সময় ক্ষেপণ করতেন। সাহাবিরাও তা প্রত্যক্ষ করতেন।

এমন কোনো হাদিস পাওয়া যায় না যে, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিশুদের মসজিদে নিতে নিরুৎসাহিত কিংবা নিষেধ করেছেন।

তারপরও আমাদের সমাজে বিশেষ একটা ভুল ধারণা হলো, ছোট শিশুকে মসজিদে নেওয়া যাবে না কিংবা গেলেও তাদের সবার পেছনে অথবা একেবারে একপাশে দাঁড়াতে দিতে হবে। তাতে যতটা না সমস্যা, তার চেয়ে বেশি সমস্যা এমনভাবে এটা বলা হয় অথবা এমন ব্যবহার তাদের এবং তাদের অভিভাবকের সঙ্গে করা হয় সেটা। অভিভাবকরা অনেক সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন।

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে ছোটদের মসজিদে নিলে তার জীবন হবে ইসলামমুখী। চিন্তা করে দেখুন, বিভিন্ন ও জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামে শিশুদের তাদের মা-বাবা কিংবা অভিভাবকরা ঘাড়ে চড়িয়ে নিয়ে যায়। কারণ, তাতে শিশুরা এসব কাজে আরও উৎসাহবোধ করে। অপর পক্ষে ইসলামি অনুশাসনের ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়, যা তাদের ইসলাম থেকে যোজন যোজন দূরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করছে।

তুরস্কের বিভিন্ন মসজিদে বাচ্চাদের মসজিদমুখী করতে মসজিদে খেলনা পর্যন্ত রেখে দেয়। বস্তুত বাচ্চারা মদজিদে আসবে, নামাজ পড়বে, একটু দুষ্টমি করবে, বিভিন্ন প্রশ্ন করবে, না বুঝে দৌঁড়াদৌঁড়ি করবে এটাই স্বাভাবিক। এটাই হওয়া উচিত।

পৃথিবীর প্রায় সব বাবা-মা ও অভিভাবকই চায়, তার সন্তান নামাজি ও সৎ চরিত্রের অধিকারী হোক। কিন্তু চাওয়ার সঙ্গে তাদের কর্মের মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। নিজেরা নিয়মিত মসজিদে গেলেও নিজ সন্তানকে মসজিদে নিয়ে যেতে চান না। শিশু মসজিদে যেতে চাইলেও নানান অজুহাতে তাকে বাসায় রেখে যান।

আরও পড়ুন- নামাজ ছাড়া রোজা পালন কবুল হবে কি?

বাচ্চারা ছোটবেলা থেকে মসজিদে না এলে মসজিদে আসার ব্যাপারে উৎসাহিত হবে কি করে? জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব বুঝবে কি করে? এমনটি হলে কি সন্তান নামাজি হবে?

হ্যাঁ, মসজিদমুখী প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে, শিশু বয়স থেকেই তাকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদে যেতে হবে। গড়ে তুলতে হবে মসজিদমুখী প্রজন্ম। তবেই সন্তান হবে নামাজি ও সৎ চরিত্রের অধিকারী। এ কারণেই সুন্দর ও অপরাধমুক্ত সমাজ গঠনে মসজিদমুখী প্রজন্ম গড়ে তোলার বিকল্প নেই।শিশু বয়স থেকেই সন্তানকে মসজিদমুখী প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়মিত নামাজসহ প্রত্যেক জুমআর দিন শিশুকে উত্তম পোশাক পরিয়ে মসজিদে নিয়ে যেতে হবে। শেখাতে হবে মসজিদের আদব, করণীয় ও বৈশিষ্ট্য। তবেই তারা পাবে একটি সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।

শিশুদের মসজিদমূখী করতে মিরপুরে অসাধারণ উদ্যোগ

শিশুদের মসজিদমূখী করতে মিরপুরে অসাধারণ উদ্যোগ

এটা রাজধানীর মিরপুরের DOHS সেন্ট্রাল মসজিদের সম্মুখদৃশ্য।মাশাআল্লাহ! টানা ৪০ দিন এশা ও ফজরের নামাজ জামাতের আদায় করে ২৩০ জন কিশোরদের পুরস্কার হিসাবে প্রত্যকে একটি করে বাইসাইকেল পুরষ্কার পাচ্ছে ।

আল্লাহ তাদের সবাইকে কবুল করুন আমীন

লেখকের ফেসবুক প্রোফাইল – https://www.facebook.com/mohd.shamsuzzaman.7

আরও পড়ুন