বিশ্ব দেখুক


এক-দু বছরে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যু দীর্ঘদিনের। এটি ওদের একদম ঘরের বিষয়। রোহিঙ্গারা নির্যাতিত, নিপীড়িত। কে বা কারা ভিজ্যুয়ালী এগুলো বিভিন্ন চ্যানেলে ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের কোমল হৃদয় নাড়িয়ে দিয়ে এক সূদুরপ্রসারী নীলনকশা বাস্তবায়নের দিকে আমাদের প্ররোচিত করেছে। আমরা আমাদের দরজা খুলে এক বিশাল যাযাবর আর হিংস্র জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে নিজের সর্বনাশ করে ফেলেছি।

প্রায় বারো-তেরো লাখ জনগোষ্ঠী কতদিন আমরা টানতে পারি! আমাদের কূটনৈতিক চ্যানেলের কোন ঘাটতি নেই। দেন-দরবার ও তো কম করছি না।

কিন্তু মিয়ানমারের সরকারের শ্বৈরাচারী আর একরোখা আচরণ কোন ক্রমেই আন্তরিক নয়। আমাদের সরকার তাই বাধ্য হয়ে নোয়খালী জেলার হাতিয়া উপজেলার ৩৯ বর্গকিলোমিটার ভুমি রোহিঙ্গাদের স্থায়াী বসবাসের জন্য বরাদ্দ দিয়ে বহু অর্থ খরচ করে আবাসনের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।

আমাদের সরকার এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক প্রটোকলের সব নিয়ম মেনে কাজ করেছে। এ এক অনন্য দৃষ্টান্ত। বঙ্গোপসাগর কন্যা ভাসান চরে আছে লাখ শরনার্থী বসবাসের আধুনিক সুবিধা, কূটনীতিক আর এনজিও কর্মকর্তাদের বসবাসের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা।

রোহিঙ্গাদের ওখানে স্থায়ীভাবে নিয়ে যাবার জন্য গত ৫ ডিসেম্বর আমাদের গর্বিত পুলিশ,সেনা,নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীর সন্তানেরা এক বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করেছেন। রোহিঙ্গারা ওখানে গিয়ে আনন্দে নাচানাচি করেছে, ছবি তুলে সোশাল মিডিয়াতে প্রচার করেছে। করতেই পারে। যারা সব হারিয়েছে,তারা পেয়ে গিয়েছে স্বপ্নের ঠিকানা। এখানেও আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থা বাগড়া দিয়েছিলো।আমরা আমাদের সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে কারো কথায় কান না দিয়ে আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে গিয়েছি। বহু মুল্যবান ভুমি, অর্থ আর শ্রম মেধা খরচ করে জোর করে বাস্তুচ্যুত মানুষকে নিজের বাড়িতে বসবাসের সুযোগ দিয়েছি। আমরা গর্বিত জাতি। স্বাধীনতা আর বিজয়ের মাসে আমরা অহঙ্কার করে বলতেই পারি আমরা দেখিয়েছি মানুষ মানুষের জন্য।