।। শেখ ফাহমিদা নাজনীন ।।
অতঃপর আমিও একদিন,
অগভীর কূপের পাশে দাঁড়িয়ে সগর্বে চিৎকার করবো,
তোমরা কি তোমাদের উপর অর্পিত প্রতিশ্রুতিকে সত্য পেয়েছো?
আমি তো পেয়েছি।
আজন্ম লালিত সমস্ত বিশ্বাস,
সমস্ত প্রতিশ্রুত প্রত্যাশাকে,
আমি সত্য পেয়েছি।
সেদিন আমার মাথার উপর উড়তে থাকবে,
লাশ খেকো শকুনের দল।
হয়তো জমাট বাঁধা রক্তে ভিজে থাকবে,
ধূলি-ধুসরিত জামার আস্তিন,
শ্বেত-শুভ্র জামাটাকে কারো কারো চোখে ধূসর মনে হবে।
আমি ক্লান্ত হাতের উল্টো পিঠে মুছে নেব,
আমার সর্বশেষ ঘামের বিন্দু।
ঘোড়ার পিঠ থেকে তখনও জিন খোলা হয়নি,
খোলা হয়নি মুখের লাগাম।
তবু বিরান প্রান্তরে গুটিকয়েক সহযোদ্ধার সাথে আমিও,
যেন বহু বছর ধরে, বহু দূর থেকে ছুটে এসে,
অবশেষে গন্তব্যে পৌঁছেছি।
যেন তক্ষুনি আর কিছু করার নেই,
অন্তত খানিকটা সময়ের বিরতি,
ইবলিশের নতুন কোন চক্রান্তের জাল বিস্তারের পূর্ব পর্যন্ত।
যুদ্ধ ক্লান্ত আমি,
যখন দাঁড়াবো সেই পাথরচাপা কুপের সম্মুখে,
যখন বলিষ্ঠ কন্ঠে উচ্চারণ করবো,
প্রতিশ্রুত বিশ্বাসের নিরাভরণ প্রশ্নটি,
তুমি তখন আমার পাশে,
তুমি তখন ছায়ার চেয়ে কাছে।
অতঃপর একদিন,
তোমার প্রতিশ্রুত সকল প্রতিশ্রুতি,
সত্য রূপেই পেয়ে যাবো,
পেয়ে যাবো তোমাকেও,
হে বদর কূপের একচ্ছত্র অধিপতি।
অতঃপর একদিন,
তোমাকে পেয়ে যাবো প্রানের চেয়েও নিকটবর্তী,
সত্য প্রকাশিত হবার উজ্জ্বলতম দিনে।
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩।