রওশন চৌধুরী
তোমার ভাবনার রক্ত চক্ষুতে আমি যাই হইনা কেন
সৃষ্টির বহমান ধারায় আমিও কিন্তু একজন মানুষ
অনুভূতির উচু নীচু যেথায় রাখোনা কেন তুমি আমায়।
সবশেষে ঐ অনুভূতিই তোমাকে ইশারায় দেখিয়ে- দেবে
আমি ও ভাবতে পারি অনেক কিছু নিরব অনুভবে।
তোমার মত করে হয়তবা নয় ভেদাভেদের গন্ডির মাঝে
নিজেকে আবদ্ধ করে উচ্চাভিলাষী কিছু দুঃস্বপ্নের- ঘোরে
তবুও আমার এই সমতল মনটা কিছু একটা ভাবতে- জানে
কোনো আকাশচুম্বি অভিলাষী ভাবনায় নিজেকে- ভাসিয়ে
আমি পারিনা কারো অহংবোধের দেয়ালে আটকে- থাকতে।
আমার ভাবনা জগতের দুটি আঁখি যেদিকে তাকায়
দূর দিগন্তের নীলাকাশের নীচে সাগরের জলরাশিকে
নীলাবরণে আবৃত হৃদয়ের ভালোবাসার কষ্টগুলোকে
নিভৃতে নিবিড়ে আলিঙ্গন অবস্থানে দেখতে পায়।
তোমার বাসনার কেন্দ্রে রয়েছে হিমালয়ের
উঁচু সীমানা পেরিয়ে দূর গগনের পানে
হাত দুটি বাড়িয়ে দেয়া।
আমার কাঙ্ক্ষিত হিমালয়টি কেবল
কোন এক সমান্তরাল পথে বহে চলতে আর
শীতল বায়ুর মত হৃদয়টিকে বহন করতে জানে।
তাই যেখানে রয়েছে অনাকাক্ষিত মতের এত গড়মিল
সেখানে কেই’বা সাজাতে পারে বলো ভালোলাগার- কিংবা
ভালোবাসার ছোঁয়ায় জড়িয়ে থাকা ছোট্ট একটি নীড়?
রওশন চৌধুরী
ইউএসএ