ফারহানা শরমীন জেনীঃ
আমি হাঁরিয়েছিলাম মুক্ত আকাশের নিচে
আলো ঝলমলে তারাদের ভীড়ে
আমি ভেসেছিলাম বহমান নদীর বাঁকে বাঁকে
স্রোতের টানে ঢেউয়ের তালে তালে।
আমি দেখেছিলাম উদীয়মান দীবাকরের
তমসা হেরী গগনের বুকে স্নান
নীল আর সাদা মেঘের উন্মত্ত খেলায়
সাদা বকেদের দল বেঁধে নীড়ে ফেরা।
আমি মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেছি একতারায়
অনির্বাণ সুরের মূর্ছনা বাউলের কন্ঠের গান
আমি অবাক হয়ে চেয়ে রয়েছিলাম কলসিকাঁখে
নির্বাক সলজ্জ পল্লী বধূর ঝলকানো সৌন্দর্যে।
আমি ভালোবেসেছিলাম উপলের উপর ফুটন্ত
দোদুল্যমান এক পলকা ঘাসফুলকে
আমি বিভোর পাহাড়ের গাঁ বেয়ে ঝরেপড়া
ঝর্ণাকে ঝর ঝর কিন্নরী মূর্ছনায়।
আমি তন্ময় হয়ে শুনেছিলাম সমুদ্রের ভারী গর্জন
জোয়ারের উদ্দাম সুখে ভাটার নিরব টানে
আমি শিহরিত হয়েছিলাম জোয়ারে ভাসা
ফেনিল নোনা জলের হিমস্পর্শে।
আমি নিদ্রাকাতরতার মাঝে শুনেছিলাম অপূর্ব গান
কোন এক ধীবরের গগন ভেদী কন্ঠে
আমি ধন্য,কৃতজ্ঞ, গর্বিত আমি জন্মেছি
এক উদার প্রকৃতির কারুকার্য খচিত উদরে।
আমি আবেগ্লাপুত হয়ে ভাবি,পুলকিত হই
আমি নাগরিক সবুজ শ্যামল এই অপরুপ বাংলার
আমি তাই স্রষ্টার সৃষ্টির এই অপূর্ব সমন্বয়ে অভিভূত
তাই সিজদাতে অবনত হই বারবার।
লেখকঃ কবি, সাহিত্যিক ও সহ-সম্পাদক, মহীয়সী।