-ফারহানা শরমীন জেনী
বিদ্যুৎ চমকের বজ্র আর্তনাদ
পাড় ভেঙে ভেসে যায় বন্যায়
লাল সবুজের আঙিনা, কংক্রিট পথ।
একটা আশঙ্কায় দুলছে নগরী
ছায়ারা দীর্ঘ হয় দিন শেষে
বিকট কান্না গুমর ওঠে অবিরত
পাথরের উষর বুকে।
নিরাপত্তার বলয়ে ফাটল
ভেসে চলে উচ্ছৃঙ্খল স্রোতে
কন্যা জায়া জননীর ভবিষ্যত!
ফুলের গায়ে শ্বাপদের ছোবল,
চড়ুইয়ের ঠোঁটে ওড়ে ভাঙা নাক ফুল।
শিকারী সারমেয় চাটে অশুদ্ধ রক্ত
শকুনের পাখায় ওড়ে ছিন্ন নুপূর!
হাওয়ায় ওড়ে নিষ্ঠুরতার ফানুস
পৈশাচিক উল্লাসে মাতে কাপুরুষ,
তবুও ঘুমিয়ে আছে বিবেক
লাগিয়ে জ্ঞানের দুয়ার!
মসজিদের মিনারের আজান
ইথারে মিশে নিশ্চুপ
ফিরে যায় কল্যাণের আহ্বান।
পরিত্যক্ত মন্দীরে কেঁপে ওঠে
নিথর ঘন্টা
সেখানেও যে ভূলুণ্ঠিত
নারীর নিরাপত্তা।
সিপারা হাতে হেঁটে চলে
অন্ধ মুসাফির
ধূপের আগুন হাতে হেঁটে চলে
অশান্ত হৃদয়ে পুরোহিত!
বাইবেল হাতে ক্রুশের চিহ্ন এঁকে
প্রার্থনারত ধর্মযাজক
সবাই প্রার্থনায় একসাথে গেয়ে ওঠে!
নিরাপত্তার নিশ্ছিদ্র বলয়ে
শান্তি চাই, চাই একটু শ্রান্তি
শ্বাপদরা সব মিলিয়ে যাক
অভিশাপের বাতাসে!
ফারহানা শরমীন জেনী কবি, সাহিত্যিক ও সহ-সম্পাদক, মহীয়সী।