Ads

জনসমক্ষে স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা প্রদর্শন কি গ্রহণযোগ্য?

।। জামান শামস ।।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আদর, ভালোবাসা, মায়া, মমতা, স্নেহের বহিঃপ্রকাশ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দম্পতিদের মধ্যে আদর, ভালোবাসার মাত্রা যদি সহনীয় পর্যায়ের বাইরে চলে যায় তা একটু অস্বস্তিকর বৈকি। শতরুপা(ছদ্মনাম) ভালোবেসে বিয়ে করেছেন আবরার (ছদ্মনাম) কে মাত্র এক বছর পূর্ণ হলো।কিন্তু এই এক বছরেই স্বামীর অগাধ ভালোবাসা তাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। তাই তিনি বাধ্য হয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য চাইতে। চলুন শতরূপার মুখে শোনা যাক তার স্বামী এমন কি আচরণ করেন যা তার মনে অস্বস্তির উদ্রেক করেছে।

শতরূপা বলেন, “ভালোবেসে বিয়ে করেছি এক বছর হলো। আমার স্বামীকে আমি খুব ভালোবাসি, সন্দেহ নেই তিনিও আমাকে অনেক ভালোবাসেন। বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনের চোখে আমরা আদর্শ ও সুখী দম্পতি। কিন্ত সমস্যা হলো, স্বামী খুবই আবেগপ্রবণ। সে এমন একজন মানুষ সম্ভবত যে কোনো নারী তার সঙ্গে সারা জীবন কাটাতে চাইবে। কিন্তু মাঝে মাঝে তার এই প্রকাশ্য আবেগ আমাকে বিপর্যস্ত ও বিব্রত করে তোলে।”

শতরূপা আরো বলেন, “আমার স্বামী প্রকাশ্যে মানুষের সামনেই আমার সংগে ঘনিষ্ট হয়ে বসে, একদৃষ্টে অনেকক্ষণ আমার দিকে চেয়ে থাকে,আমার আংগুলে বিনুনি কাটে এবং এক সময়ে জাপটে ধরে। আর দিনে কমপক্ষে ১০ বার ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’ বলে। আমি খুব কমই সাড়া দেই। তখন আমি ভালোবাসার বিনিময় করি নেহাতই সৌজন্য দেখানোর জন্য। মনে হচ্ছে, স্বামীকে আমি কষ্ট দিচ্ছি।কিন্তু একদমই বুঝতে পারছি না, স্বামীর অতিমাত্রার এই ভালোবাসা দেখানো মনোভাব আমি কিভাবে মোকাবেলা করব? আমার এটাও মনে হচ্ছে, আমি অতিমাত্রায় কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছি। দয়া করে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের উপায় বলুন।

শতরূপার এই সমস্যার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেছেন মুম্বাইয়ের ফর্টিস হাসপাতালের মনোরোগ চিকিৎসক DR.PARUL TANK ডা: পারুল টাঙ্ক।

তিনি বলেন, “আমি বুঝতে পারছি ব্যাপারটি বেশ বিব্রতকর। আপনার স্বামী মনে হয়, পারিবারিক ও সামাজিক সীমাবদ্ধতার বিষয়টি বুঝতে চান না। এই ধরনের আচরণ আসলেই অসঙ্গত। আমার পরামর্শ হচ্ছে, তার সঙ্গে কথা বলে এই ব্যাপারটি বুঝানোর চেষ্টা করুন। ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ভদ্র এবং দৃঢ়তার সঙ্গে করা যায় এবং সেটা নিজেদের পরিবেশেই ভালো মানায়, প্রকাশ্য প্রদর্শনে অন্যদেরও বিব্রত করে । আপনি যে তার ভালোবাসার ধরণ উপভোগ করছেন না তাও তাকে বুঝানোর চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুন-স্বামী তার স্ত্রীকে কখন পাগলের মত ভালোবাসে?

সমাজ বিজ্ঞানীরা বলেন, বিবর্তন সমাজেরই একটা ধারা। সামাজিক আচার, কানুন, মানুষের অভ্যাস আচরণেও এগুলোর প্রভাব স্বাভাবিকভাবেই পড়ে এবং সমাজও পরিবর্তনের এই ধারাকে মেনে নেয়। এ রকমই হলো লজ্জা শরমের বিষয়টা। পঞ্চাশ ষাটের দশকের ছবিগুলো দেখলে দেখা যাবে নায়ক নায়িকা কথোপকথন হচ্ছে, ভাব বিনিময় হচ্ছে, প্রেম ভালবাসা থেকে প্রণয়েও গড়াচ্ছে কিন্তু কিছু একটা তাদের প্রতিক্ষণ যেন আবৃত করে রাখছে আর সেটা হলো লজ্জা। তারা নিজেরা, প্রযোজক পরিচালকরা বুঝতেন যে তারা অভিনয় করছেন বটে তবে তাদের ভালবাসার প্রকাশটা জনসমক্ষে যাবে বলে তিনঘণ্টা ফিতার কোন অংশে তাদের পরস্পর আলিঙ্গন বা স্পর্শ পর্যন্ত দেখা যেতো না।

এখন বিবর্তনের ফলে প্রণয় ইচ্ছার অভিব্যক্তিও স্পর্শমুক্ত নয়। যে কল্পনা মনের মধ্যে থাকে তাকে চুম্বন, আলিঙ্গন থেকে বেডরুমের বিষয়বস্তু দিয়ে দৃশ্যমান করা হয়। বিবর্তন একে এতটা এগিয়ে দিয়েছে,আমার ভাষায় ধ্বংশ করে দিয়েছে যে স্বামী স্ত্রী যে কাজটা একান্ত সংগোপনে করে তাও এখন ছবির অংশে না হলে আর ছবি কিসের? এটাতো ছবির কথা বললাম কিন্তু আজকাল রাস্তাঘাটে, উদ্যান-সরোবরের তীরে, মার্কেট- বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোরে ছেলে মেয়ে একে অন্যের হাত, কোমর বা ঘাড় ধরে চলার দৃশ্য দিন দিন বাড়ছে। বিকালে হাঁটার অভ্যাস থাকলে ধানমন্ডি লেক কিংবা চন্দ্রিমা উদ্যানে গিয়ে পরখ করতে পারেন। যুগলদের কখনো বিচ্ছিন্ন পাবেন না,তারা সব সময় একাত্ম,অভেদ। অল্প কিছু বৃদ্ধ লোক ছাড়া এখন এমন দৃশ্য কারো কাছেই আর দৃষ্টিকটু লাগে না।

পশ্চিমা দেশে এমনকি চাকুরি সুবাদে আরব দেশ বাহরাইনে দুই দশক আগে ইউরোপ বা স্কানডিনিভিয়ান দেশের নরী পুরুষের মধ্যে এমন দৃশ্য দেখেছি। মনে হয়েছে এরা যেন একে অন্যকে ছুঁয়ে না থাকলে বরং বেশী অস্বস্তিতে ভোগে। এটা তাদের কাছে স্বাধীনতা, কেউ বারণ করবে এমন সাধ্য নেই কেননা তাতে অভিযোগকারী উল্টো মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলায় পড়তে হবে । কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক উম্মে মুসলিমা তার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিবরণ দৈনিক প্রথম আলো ১৭ জুন ২০১৫ সংখ্যায় ‘দৃশ্যমান মার্কিন নরনারী নামে লেখা প্রবন্ধের কিছু অংশ তার অনুমতি নিয়েই পাঠকদের উদ্দেশ্যে উদ্ধৃত করলাম।

তিনি লিখেছেন,ওরা স্বাধীনতাকে ইচ্ছেমতো উপভোগ করে। স্বাধীনতা যেন একপ্রকার মানবাধিকার । দেখবেন,ট্রেনে বাসে, পার্কে, রাস্তায় যুবক যুবতীদের কেউ কেউ আলিংগনরত। সাধারণত তাদের দিকে কেউ ফিরে তাকায় না।যেদিকে ইচ্ছে সেদিকে তাকানো মানবাধিকার হলেও ভব্যধিকার নয়। আমরা যারা নতুন ভ্রমণকারী, তারা আড়চোখে না দেখার ভান করে দেখে নেই । অস্বস্তি লাগে। আমরা শিখেছি স্বাধীনতা স্বেচ্ছাচারিতা নয়। একে তাহলে কী বলবো? একে ইংরেজীতে বলা হয় Public display of affection PDA বাংলায় ‘জনসমক্ষে ভালবাসা প্রদর্শন’ বলা যেতে পারে।

বাস যোগে নায়াগ্রা দর্শনে যাচ্ছিলাম নিউইয়র্ক থেকে। সামনের সিটে এক জোড়া তরুণ তরুণী টানা আট ঘণ্টার ভ্রমণে ১৫-২০ মিনিট পরপর যাচ্ছেতাই কাজ করে যাচ্ছিলেন। দুই সিটের ফাঁক দিয়ে তা পিছন সারির যাত্রীর নজরে পড়াই স্বাভাবিক । শেষমেষ ঘুমের ভান করে পড়ে থাকা ছাড়া উপায় ছিলো না। তাদের পাশের সিটে সাত আট বছরের ছেলে নিয়ে এক দম্পতি। আমাদের নিজেদের জন্য যতটা না শিশুটির জন্য তার চেয়ে বেশী অস্বস্তি লাগছিল। জানি না ওখানকার শিশুরা বিষয়টি কীভাবে নেয়। হয়তো কিছুই ভাবে না। আমরা নিজেদের দেশে ঘরে শিশুদের নিয়ে কোন ইংরেজী মুভি দেখতে বসলে মুভির অন্তরঙ্গ দৃশ্য আসার আলামত দেখেই চ্যানেল ঘুরিয়ে দেই।

শিশুদের শৈশব অক্ষুন্ন রাখার জন্য বিশ্বব্যাপী কতই না গবেষণা। শিশুতোষ বই, কার্টুন, সিনেমা পার্ক গেম, টিভি শো ইত্যাদি নিয়ে নতুন নতুন ভাবনায় শিল্পী সাহিত্যিকরা পরিশ্রম করছেন। PDA নিয়ে মার্কিন মুলুকেও বিতর্ক আছে। কোন এক জরীপে স্কুলে তো বটেই এমনকি ক্লাসের বাইরে PDA একেবারেই নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দেন ২১ শতাংশ, ৭৯ শতাংশ মানুষ ভাবেন PDA থাকা উচিত নীতি অনুযায়ী-মানুষের বিরক্তি উৎপাদন না করে সীমিত পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য অনুরাগ প্রদর্শনে বাধা নেই। কিন্তু কে আর মানছে তা? কেবল বিপরীত লিঙ্গের মধ্যেই এসব সংঘটিত হচ্ছে না। সমলিঙ্গের জুটিও কোন অংশে কম যান না। আবাল বৃদ্ধ বনিতা সবার সামনেই বিরক্তিকর ভালবাসা প্রকাশ করতে যেন তারা বদ্ধপরিকর। এমনও দেখা গেছে, কেউ তাদের দিকে ক্যামেরা নিবন্ধ করলে তারা আরো মরিয়া হয়ে উঠেন। শিশু কিশোরদের উপর এর প্রভাব কোনভাবেই তুচ্ছ করার নয়। কিশোরীদের মধ্যে এক বিরাট অংশের গর্ভধারণের এটা একটা অন্যতম কারণ হিসাবে বিবেচিত।

আরও পড়ুন-স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশে কি দিবস লাগে ?

সে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের জরিপ অনুযায়ী প্রতি বছর এক মিলিয়ন করে কিশোরী অনভিপ্রেত গর্ভধারণ করছে। অনেকে বলবেন ততটা আধুনিক নই বলেই এগুলোকে বাঁকা চোখে দেখছি। ওদের অসুবিধা না হলে আমার কী? শুধু আমার অসুবিধা নয় মার্কিন দেশে যতজন বাঙালির সাথে দেখা হয়েছে তাদের মতামত নিয়ে জানা গেছে তারাও বয়স্ক ও বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে চলাফেরায় স্বস্তিবোধ করেন না। অনেকে আবার এই একটা কারণে বাচ্চাদের নিয়ে দেশে ফেরত আসার কথা ভাবছেন।

সভ্য দেশ হিসাবে নিজেদের জাহির করতে যুক্তরাষ্ট্রের তো জুড়ি নেই। একটা শিক্ষিত, মর্যাদাবোধ সম্পন্ন, পরিশীলিত পরিবারের লোকজন যেমন বাড়ীর মধ্যেও উচ্চস্বরে কথা বলেন না উচ্চ আওয়াজে গান শোনেন না, বাড়ীর বাইরে কারো সাথে বচসা করেন না। পাপলিক নুইসেন্সের কথা মাথায় রেখে খুব জরুরী নাহলে গাড়ীর হর্ন বাজান না, অনুমতি ছাড়া রাত দশটার পর কেউ কাউকে ফোন করেন না, লাইন ভাঙার কথা কল্পনাও করেন না সেখানে ব্যক্তিগত ভালবাসার অপ্রতিরোধ্য দৃশ্যায়ন যা কিনা অন্যদের যুগপৎ হয়রানি ও বিরক্তি করে এমনটি কি করে সভ্য সমাজের দৃষ্টান্ত হয়? ও এ রিপোর্ট পড়তে গিয়ে সেদিনই PDA বা Public display of affection ধারণাটার শিরোনাম জেনেছি।

ইসলাম বরাবরই মানুষের ব্যক্তিগত সম্পর্ক বিশেষ করে স্বামী স্ত্রীর মধুর সম্পর্ককে পবিত্র আমানত হিসাবে মনে করে। এটা ইসলামের কাম্য নয় যে, কোন মুল্যবান বস্তুকেই যতনে  ব্যবহারে মানুষ অসতর্ক হয় কিংবা তাকে জনসমক্ষে খাদ্য বা ভোগ্য বস্তুর মত প্রকাশ করে বেড়ায়। কারো একখন্ড জমি থাকলে সে কখনো তার দলিলপত্র পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় না বরং সিন্ধুকে আটকে রাখে, এক ভরি, আধ ভরি সোনার অলংকার থাকলে খুব সুরক্ষিত স্থানে হেফাযত করে কিন্তু সারা জীবনের সুখ দুখের সঙ্গী জীবন সাথীর অমূল্য সব সম্পদ সরকারী সম্পদের মত উজাড় করে জনসমক্ষে প্রদর্শনী করে বেড়ায়-এটা কি হায়া না বেহায়া?

শয়তান এদের রুচিবোধকে এতটা নিচে নামিয়েছে যে, যে মুক্তাকে খোদ তার স্রষ্টাই দুটি শক্তিশালী খোলের ভেতর লুকিয়ে রেখেছিলেন তাকেই এরা হাতুড়ি মেরে ভোঙ বাইরে এনে ধুলায় লুটিয়েছে। মেয়েদের সাজসজ্জা শুধু তার বৈধ পুরুষের জন্য। এটা সুনির্দিষ্ট এবং এর মধ্যে কোন কম্প্রোমাইজ নেই, ডিজলাইক নেই। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক এতটা সুরক্ষিত ও গোপনীয় এবং পবিত্র যে তাদের সন্তানদেরও বাবা মায়ের ঘনিষ্ঠতার দৃশ্য দেখতে কুরআন নিষেধ করে দিয়েছে। যেখানে সন্তানদের সামনে বাবা মায়ের নিবিড় হওয়ার দৃশ্য আল্লাহ পছন্দ করেন না সেখানে হাটে বাজারে রেস্তোরাঁয়, পার্কে, সরোবরের কিনারে বন্ধু পরিচয়ে ছেলে মেয়ের হাত ধরাধরি, আলিঙ্গন, কোমর জড়ানো দৃশ্যের প্রকাশ স্পষ্টত শয়তানের কাজ, বড় গুনাহের কাজ, কোন সন্দেহ নেই। কিছু লোক তা উপভোগ করে জ্বেনাকার হয় আর কিছু তাতে বিব্রতবোধ করে ও ত্যক্ত বিরক্ত হয়।

ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা নিষিদ্ধ করেনি বরং তাকে একান্তই দুজনের মধ্যে সীমিত রাখতে বলেছে। বাইরে প্রদর্শনী তো নয়ই বরং ঘরেও কেউ তাদের ঘনিষ্ঠ হবার দৃশ্য দেখতে পারে না। কুরআন বলছে-

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لِیَسۡتَاۡذِنۡکُمُ الَّذِیۡنَ مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ وَ الَّذِیۡنَ لَمۡ یَبۡلُغُوا الۡحُلُمَ مِنۡکُمۡ ثَلٰثَ مَرّٰتٍ ؕ مِنۡ قَبۡلِ صَلٰوۃِ الۡفَجۡرِ وَ حِیۡنَ تَضَعُوۡنَ ثِیَابَکُمۡ مِّنَ الظَّهِیۡرَۃِ وَ مِنۡۢ بَعۡدِ صَلٰوۃِ الۡعِشَآءِ ۟ؕ ثَلٰثُ عَوۡرٰتٍ لَّکُمۡ ؕ لَیۡسَ عَلَیۡکُمۡ وَ لَا عَلَیۡهِمۡ جُنَاحٌۢ بَعۡدَهُنَّ ؕ طَوّٰفُوۡنَ عَلَیۡکُمۡ بَعۡضُکُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰهُ لَکُمُ الۡاٰیٰتِ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿

হে মুমিনগণ, তোমাদের ডানহাত যার মালিক হয়েছে (দাস দাসীগণ)এবং তোমাদের মধ্যে যারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি তারা যেন অবশ্যই (তোমাদের ঘরে প্রবেশ করতে) তিন সময়ে অনুমতি গ্রহণ করে। ফজরের সালাতের পূর্বে, দুপুরে যখন তোমরা তোমাদের পোশাক খুলে রাখ, এবং ‘ইশার সালাতের পর; এই তিনটি তোমাদের [গোপনীয়তার] সময়। এই তিন সময়ের পর বিনানুমতিতে প্রবেশ করলে তোমাদের এবং তাদের কোন দোষ নেই। তোমাদের একে অন্যের কাছে যাতায়াত করতেই হয়। এভাবে আল্লাহ তোমাদের উদ্দেশ্যে তাঁর আয়াতসমূহ বর্ণনা করেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়।(সুরা নূর : ৫৮)

লেখকঃ জামান শামস, কলাম লেখক এবং সাবেক এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি

…………………………………………………………………………………………………………………………

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সামাজিক পারিবারিক নানা বিষয়ে লেখা আর্টিকেল ,আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ লেখা,গল্প,কবিতা পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi  তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। আর হা মহীয়সীর সম্মানিত প্রিয় লেখক!  আপনি আপনার  পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে-  [email protected]  ও  [email protected] ; মনে রাখবেন,”জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়েও উত্তম ।” মহীয়সীর লেখক ও পাঠকদের মেলবন্ধনের জন্য রয়েছে  আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম ; আজই আপনিও যুক্ত হয়ে যান এই গ্রুপে ।  আসুন  ইসলামী মূূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রজন্ম গঠনের মাধ্যমে সুস্থ,সুন্দর পরিবার ও সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখি । আল্লাহ বলেছেন,“তোমরা সৎ কাজে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে চলো ।” (সূরা বাকারা-১৪৮) ।আসুন আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখতে সচেষ্ট হই। আল্লাহ আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমিন ।

আরও পড়ুন