সেলিম আহমেদ
আবরার এর বাবার এই ছবিটা যতবার দেখি আমার বুকের ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে ভেংগে যায়, ক্ষোভে শ্বাস -প্রশ্বাস দ্রুত বেড়ে যায়।
চোখ লাল হয়ে উঠে।
এই সময় যদি হত্যাকারীদের হাতের নাগালে পেতাম তরবারি দিয়ে তাদের সেই কুৎসিত হাতের কব্জিগুলো কেটে দিতে পারলে কিছুটা শান্তি নিয়ে আবরার এর বাবাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পেতাম।
একজন আবরার
একটি সন্তান,
আর তাকে ঘিরে বিন্দু বিন্দু জলের মত করে গড়ে ওঠা মা-বাবার স্বপ্ন।
দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের মৃত্যু হলো বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের তথাকথিত ছাত্রনামধারী পশুদের হাতে।
যার গেছে সেই হয়তো এই ব্যাথা অনুভব করতে পারে।
আমরা তাঁদের বুকের কষ্ট বেদনাগুলো অনুভব করতে পারি না,
আবার অনেকে মনে করেন আমার তো কিছুই হয়নি আমি কেন যাবো এ ঝামেলায় এভাবে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি, কেউ কেউ জেগে থেকে ও ঘুমের ভান করি। আর যারা তোষামোদির রাজনীতির সুবিধাভোগী তারা নেতার করুণা ভিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন ভেবে উঠ পাখির মত মাথা গর্তে ঢুকিয়ে রাখেন।
এখনই সময় এসেছে আমাদের প্রজন্ম ও তাদের আগামী ভবিষ্যতকে নিয়ে ভাববার,যেনো আবরার এর মতো মেধাবী সন্তানরা ঝরে না পড়ে।
এখনো মনে পড়ে, কোটা বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা স্বল্পশিক্ষিত কৃষক নুরুর বাবার কথা।
যেন দার্শনিকের অমিয়বানী
“আজকে আমার ছেলে,
কালকে আপনার ছেলে,
পরশু দিন তার ছেলে, এভাবেই দেশটা চলবে। আমরা সবাই মরে যাবো
শুধু তারাই বেঁচে থাকবে।”