Ads

বিসিএসআইআর আবাসিক এরিয়ায় জমজমাট শরৎ উৎসব

মহীয়সীঃ 

গত ২ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল চারটায় রাজধানীর এলিফেন্ট রোডের বিসিএসআইআর গবেষনাগার আবাসিক এরিয়ায় জমজমাট শরৎ উৎসব পালিত হল। ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর বৈচিত্র্যতাই যেন শক্তি। পৃথিবীর কোন দেশে ছয় ঋতু নেই। শুধু তা নয় মাসে মাসে বাংলাদেশের আবহাওয়া, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর পরিবর্তনশীল মানুষের জীবন যাপন সব কিছুতেই একটা অদ্ভুত বৈচিত্র্যতা পরিলক্ষিত হয়।

আরও পড়ুন- স্বীকারোক্তি

মানুষ তাই এই বৈচিত্র্যময়তাকে উপভোগ করতে চায় নানা রঙে আর উৎসবে। বিসিএসআইআর বাংলাদেশের একটি জাতীয় গবেষণাগার। গবেষকদের নিয়মিত সাংস্কৃিতক অনুষ্ঠান উৎযাপন করার সময় থাকে না। তাঁরা পেশাগত কাজেই নিরন্তর সময় ব্যয় করেন। কিন্তু সুস্থ সুন্দর মানবিক সমাজ গঠনে সাংস্কৃতিক চর্চাটা ও গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া যেকোন প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সৌন্দর্য ছড়ায় সাংস্কৃতিক বিকাশের মধ্য দিয়ে।

আরও পড়ুন-নারীর উন্নয়নে প্রতিবন্ধক কি শুধুই পুরুষ?

এই চিন্তাধারা বাস্তবায়নে শত ব্যস্ততার মধ্যেও বিজ্ঞানী পরিবারের সবাই একত্রিত হয়েছিল বিসিএসআইআর গবেষনাগারের সবুজ মাঠের কড়ই তলায়৷ শরৎকালের গভীর নীল সাদা আকাশের সামঞ্জস্য রেখেই সবার পড়নে ছিল নীল শাড়ি। শরতে সবুজ ঘাসে শিউলি ফুলের সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়েছে কেকের কারুকাজে। সুনিপুণ নান্দনিক কেকটি তৈরি করেছেন বিজ্ঞানী পত্নী ও রন্ধনশিল্পী পলি জামান।নানা রকম বৈচিত্র্যময় দেশীয় খাবারের আয়োজনে ছিল অন্য রকম মুগ্ধতা। সবাই একটি করে খাবার তৈরি করে এনেছে। শরতের নীল আকাশের নীচে সবাই মিলে সবুজ ঘাসের উপর কেক কেটে আনন্দ অনুভূতি আর উষ্ণতা বিনিময় করে।

আরও পড়ুন-জাপানি বাড়িওয়ালা

আবাসিক এরিয়ায় ঘরোয়া এই আয়োজনে আরও একটু সৌন্দর্য যোগ হয় সঙ্গীত শিল্পীদের সুরেলা কন্ঠের সুর। সঙ্গীত শিল্পী মাধবী সাহা ও অনিন্দিতা ভট্টাচার্যের সুরে সুরে সন্ধ্যা নামার মধ্য দিয়েই শেষ হয় শরৎ উৎসব। এই আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন উদ্যোক্তা নুরুন নাহার লিলিয়ান ও আশা মামুন।

প্রতিবেদনেঃ মহীয়সী ডেস্ক রিপোর্ট

আরও পড়ুন-

শরৎ উৎসব

 

আরও পড়ুন