মহীয়সীঃ
সমস্ত প্রশংসা মহান রব্বুল আলামিনের। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক শেষনবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবীগণের ওপর। হামদ ও সালাতের পর সমাচার হল, শাইখ সালেহ আল মুনাজ্জিদের ‘সালাসাতু সালাসুনা সাবাবান লিল খুশুঈ ফিস সালাতি’-এর- অনুবাদ ‘নামাজে মনযোগ ধরে রাখার উপায়’ অধম বান্দা আদ্যোপান্ত অনুবাদ পড়েছি। অনুবাদ কর্মটি যথেষ্ট ছিল। তারপরও কিছু ইলমি-আমলি ও ফিকহি বিষয়ের পুনরায় দেখার জন্য অধমকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পূর্ণাঙ্গ আমানত রক্ষা করে দেখার চেষ্টা করেছি।
আরও পড়ুন- লরা ডয়েলের স্যারেন্ডার্ড ওয়াইফ
বইটিতে মূলত নামাজে মনযোগ স্থাপনের কিছু টিপস-উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেষ নির্দেশ ছিল, সালাত। মৃত্যুর কিছুক্ষণ পূর্বে তিনি বলেন,
‘তোমরা নামাজের ব্যাপারে যত্নবান হও। আর তোমাদের অধীনস্থদের সঙ্গে দয়া ও ন্যায়-সঙ্গত আচরণ করো।’-সুনানে আবু দাউদ, ৫১৫৬।
সর্বাবস্থায় নামাজ ফরজ, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ো, যদি না পারো তবে বসে নামাজ পড়ো, যদি তা-ও না পারো তবে ইশারা করে নামাজ আদায় করো। ’- বুখারি, হাদিস নং: ১০৫০।
অতএব বুঝা গেল নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। অসুস্থ অবস্থায়ও নামাজ ত্যাগ করা যাবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন,তোমার প্রতি যে কিতাব অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা থেকে তিলাওয়াত কর এবং সালাত কায়েম কর। নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। -সূরা আনকাবুত : ৪৫।
আরও পড়ুন- ড. ইউসুফ আল কারজাভির দাঈদের জ্ঞান চর্চা
অতএব আমাদের নামাজ যদি রবের জন্য হয়, নামাজে এই ধ্যান-খেয়াল থাকে যে আমি আল্লাহকে দেখছি, বা আল্লাহ আমাকে দেখছেন। তাহলে সেই নামাজই কেবল পারে যাবতীয় অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখতে। উল্লেখিত আয়াতে সে দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
আরও জানুন- নামাজে মনোযোগী হওয়ার সহজ উপায় জেনে নিন – শায়খ আহমাদুল্লাহ
আল্লাহ তাআলা আমাদের নামাজে মনযোগি হওয়ার তাওফিক দান করুন এবং বইটিকে উম্মাহর জন্য উপকারী ও উপযোগি বানিয়ে দেন। আমিন।-“সম্পাদকের কলাম” হতে
বই : নামাজে মনযোগ ধরে রাখার উপায়
লেখক : শায়খ সালেহ আল মুনাজ্জিদ
অনুবাদ : ইবনে ইউসুফ
সম্পাদক : সাবেত চৌধুরী
প্রকাশনী : অশ্রু প্রকাশন
মুদ্রিত মূল্য : ১০০।
পৃষ্ঠা: ৮৮
লেখকঃ হুমায়রা মুসলিম তানিয়া