-নুরে আলম মুকতা
চরম দুষ্টু ছেলেটিই মাকে রক্ষা করে। আনিসুর মামা ছোটবেলা থেকেই দূর্দান্ত প্রকৃতির ছিলেন। নানা ওকে কোনমতেই পড়ার টেবিলমুখী করতে পারছিলেন না। যত রকমের কসরত ছিলো সব যখন শেষ তখন আর উপায় কি? জামাই কে বলো। কিছু করা যায় কি না।…
হাসিনা সাঈদ
রাত্রিরা পৌঁছানোর পর, মা আয়েশা সুলতানা ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রিয়জনদের আদর আপ্যায়নে।
রাত্রিকে দেখে মমতাময়ী মা জড়িয়ে ধরেন আদরের উষ্ণতায়।
আশফাক আলমকে প্রতিবারের মতো কদমবুসি করেন তিনি।আশফাক আলম তাদের মায়ের নামে স্কুলটা দেখে আসতে চলে…
হাসিনা সাঈদ
রাত্রি আমতা আমতা করছে কি উত্তর দিবে বুঝে উঠতে পারেনা আবার মিছে কথাও সে বলতে পারেনা।মুখ ফুটে কিছু বলার আগেই সীমান্ত আসে ঘরে।
সে জানায়
-আব্বাজান ফুল গুলা তো স্যার দিয়েছেন...!
-কি বল্লি স্যার দিয়েছেন! কোন স্যার?
সীমান্তও আমতা…
হাসিনা সাঈদ
"সুহাসিনী রাত্রি'
-জানি সুরঞ্জনার ঐ দুনয়নের দীঘির জলে ভেসে যেতে চাইবে বহু যুবকের একাকী অন্তর।আর আমি তো আমার রাত্রির আকাশে এক ফাঁলি চাঁদ হওয়ার স্বপ্নে বিভোর।রাত্রি নামে কি আসে যায়?যার হাসিতেই এত মধুরতা,বিমোহিত মন সে তো কত…
হাসিনা সাঈদ মুক্তা
রাশেদ পরদিন বইটা এনে তার নিজের কাছেই রাখে।
পাঁকামোতে সেরা সীমান্ত ভ্রটা বাঁকিয়ে খেয়াল করে তার প্রিয় স্যারের চপলতা।
স্যারকে তার কেমন যেন মনে হয়।
মনে মনে রাশেদও নার্ভাস।
সীমান্ত বলে,
-স্যার আপনার পড়া শেষ?
-হ্যাঁ।…
হাসিনা সাঈদ মুক্তা
যেদিন প্রথম রাশেদ রাত্রিকে দেখলো সে ঘটনাটি ছিল আরও অদ্ভুত ।
সীমান্ত ও তার মা বাসায় ছিল না সেদিন।
রাশেদ মাগরিবের পর সীমান্তকে পড়াতে আসলো।
দরজা দুতিনবার কড়া নাড়তেই ভেতর থেকে কেউ একজন খুলে দিলো।
কনককাঁকনের সেই রিনিঝিনি…
হাসিনা সাঈদ মুক্তা
-বউমা
-জ্বী বাবা
-আমার ওযুর পানিটা কি গরম হলো?
-আর একটু হবে দিচ্ছি
-তুমি কেন?জয়নাব কে বলো
-না বাবা ও ঘুমাচ্ছে, ঘুমাক
-বউ মা জয়নাবটা কি নামাজ পড়ে না ওকে সকালে ডেকে তুলে নামাজটা পড়তে বলো।কদিন বাদে বিয়ে নামাজে এত…