তিনি (স) সম্পূর্ণ সৃষ্টি জগতের জন্যে রহমত। তাঁকে (স) নিয়ে তাঁর (স) কর্ম নিয়ে লেখা কি আদৌ কোনো মানুুষের পক্ষে সম্ভব?
আমরা তবুও লিখি আর যাই লিখি না কেন তাঁর(স) জীবন ও কর্মের তুলনায় একটি পরমাণু পরিমাণ হলেও
নিজেকে ধন্য মনে হয়।
নিচের কবিতাটি মানবতার সেই মহান শিক্ষক সমগ্র সৃষ্টি জগতের মুক্তির দূত রসুলুল্লাহ (স) নিয়েই রচিত।
একটি কবিতার তুলুনা একজন মানুুষের মতোই। মানুুষের যেমন শরীর ও রুহ থাকে কবিতারও তেমনি শরীর ও রুহ থাকে
কবিতার রুহ বলতে আমি বুঝি কবিতার বিষয়কে।
” ম” কাব্য একটিই নাম কবিতার রুহ হচ্ছে অতুলনীয়, সর্বশ্রেষ্ঠ। আমরা বরং কবিতার শরীরটা নিয়ে আলোকপাত করতে চাই।
কবিতার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বর্ণনার বিন্যাস চমৎকার কারুকার্যময়।
অবশ্য এ ব্যাপারে কবির রয়েছে সাংঘাতিক পারঙ্গমতা।
এই বৈশিষ্ট্য না থাকলে কবিতাটা পঙ্গুত্ব বরণ করে।কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়।একটি কবিতা কবিতা হিসেবে নিরঙ্কুশ হতে হলে থাকতে হবে শব্দের চয়ন প্রায়োগিক মুন্সিয়ানা।
সেক্ষেত্রে কবিতাটির কিছু বাক্য থেকে সত্যিই উজ্জ্বল আভার বিকিরণ ঘটেছে।
যেমন,
ধূ ধূ চারিধার
নিঃসীম পারাবার
ছলকে ছলকে
জলময় মহাসাগর ধীর
নীরব ওপরে চায়
কী সুনসান নিঃশব্দ ভীষণ
কেমন আচরণ?
তবে কবিকে শব্দের প্রাসঙ্গিকতা অনুধাবনে আরও সতর্কতা ও প্রজ্ঞার পরিচয় দিতে হবে।
কবিতার একটি অনিবার্য অনুষঙ্গ হচ্ছে অনুপ্রাস, উপমা এবং অলঙ্কার।
এসব সরঞ্জাম দিয়ে শরীরকে যত বেশি সুসজ্জিত করা যাবে একটি তখনই হবে নিরঙ্কুশ নান্দনিক ও সুখপাঠ্য।
তবে সব বিবেচনায় আমার সামান্য উপলব্ধিজাত জ্ঞান থেকে বলতে পারি,
“ম” কাব্য
একটিই নাম
একটি বিভা ছড়ানো অসামান্য প্রয়াসের সক্ষম স্বাক্ষর।
কবি Nurealam Mukta ‘র প্রতি রইলো হার্দিক অভিবাদন।
#”ম” কাব্য
একটিই নাম
-নুরে আলম মুকতা
ঘোর অন্ধকার
চারিদিকে ।
গুমোট নারকীয় জ্বালা
আর ঘূর্ণাবর্ত শন শন ঘূর্ণন !
পেঁচিয়ে ওঠে এক ভয়ানক
দূর্বিপাক দূর্বিনীত ।
হঠাৎ মহাশূন্য বিস্ফোরিত,
লক্ষকোটি তারকার গর্ভনিঃসৃত
জ্বালাময় প্রস্রবণ !
কেঁপে কেঁপে
ধরিত্রী বার বার
মহাশূন্যের দিকে ধেয়ে
আছড়ে আছড়ে চলমান,
উল্টে পাল্টে
গর্জন গর্জন, তর্জন।
ধূ ধূ চারিধার ,
নিঃসীম পারাবার ।
ছলকে ছলকে
জলময় মহাসাগর ধীর
নীরব ওপরে চায় ,
কী শুনসান নিঃশব্দ ভীষন
কেমন আচরণ?
প্রাণের উন্মেষ অদ্ভুত !
ছায়াময় গুল্ম বিরুৎ ।
দিকে দিকে
ছোটে সংগ্রাম সংগ্রাম
দুটি হাত উত্তোলিত বার বার
মহাশূন্যে
বুভুক্ষু
নিঃশব্দে উলঙ্গ ।
প্রানে চঞ্চলিত বনাঞ্চল ,
মরুপথ সাগর নদী-বক্ষ অতল ।
নীলিমার আঁচল ঘেঁষে
প্রচন্ড উদ্যমে নৃত্য ঘূর্ণি
বেগে
হাতছানি দিয়ে
চলে যায় ,
জীবনের পানে ধায় ।
বার বার দুর্বোধ্য শব্দমালা
হুংকার শুললিত ,
মহাশূন্য অবনত ।
সারি সারি সুসজ্জিত
হুর গেলেমান
শ্রষ্টার
পানে ধাবমান ।
মহাশূন্যের গর্ভে চির চঞ্চল সৃষ্টি সুখের উল্লাস ।
মহা কীর্তির মহাযজ্ঞে
কোটি কোটি অসীম আলোকবর্ষ ধরে —
লিপিবদ্ধ ।
আরশে-মাওলার
লৌহে মেহফুজে ,
চিরদীপ্ত ভাস্বর মহাসৃষ্টি ।
ছুটে চলে আলোকোজ্জ্বল মহাবিস্ময় আলোকমালা ;
অচঞ্চল মহাশান্তি চিরশান্তি
মহাদীপ্ত মহা নিনাদ
একটিই নাম মুহাম্মদ ।
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
০১.১১.২০২০