নতজানু হই বারে বারে প্রসন্ন চিত্তে
অসীম সেই স্রষ্টার কাছে।
কতটুকু বিলিয়ে নিজেকে
তোমার ভালোবাসায় সিক্ত হবো,
তোমার করুনাধারায় ভাসবো, জানিনে।
শতবার এ প্রশ্ন আমার নিজেরই কাছে!
শুধু জানি তোমার প্রেম,কোটি কোটি বারের ক্ষুদ্রাংশ ও
মানুষকে তুমি দাওনি,
তাতেই মানুষের এতো আবেগ,এতো প্রেম!!
বিশ্বাস নিয়ে আছি হে মহান প্রভু
তোমার ভালোবাসার একটু ক্ষুদ্র কণা হলেও পাবো!
তুমি অফুরন্ত ক্ষমার ভান্ডার!
নিশ্চয়ই কৃতঘ্নতার ক্ষমা পেয়ে যাবো বার বার!!
চারিদিকে চোখ বুলালেই দেখি অফুরান তোমার নেয়ামত!
এতো প্রাপ্তিতে কেমন করে ভুলে যাবো
তোমার দয়া,তোমার মহানুভবতা!
এই যে অবারিত সবুজ জমিন,অসীম নীলাকাশ!
দূরন্ত পাখির ডানা মেলে ছুটে চলা!
এই যে আকাশের গায়ে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে
উঁচু উঁচু পর্বতচূড়া,
দিগন্তপ্রসারী বিপুলা এই সমুদ্রজল!
সীমাহীন তার সৌন্দর্যের অতল! মুগ্ধ হই বারে বারে!
কে এর সৃ্ষ্টিকর্তা!কতটা মহান সেই অন্তর্যামী!
সৃষ্টির রহস্যে আপ্লুত আমি
কখনও কি গুনমুগ্ধ হয়েছি সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকর্মের অপার দক্ষতায়!
এতো গভীরতা মন কি ছুঁয়ে যায়!
অথচ সুন্দরকে দেখে আনন্দিত হই,প্রশান্তচিত্তে দুচোখের তারায় বন্দী করি শত শত ভালোলাগা।
একটু মনকে দাঁড় করাই, অলৌকিক সত্তার সন্মুখে
নতজানু হই বার বার,কৃতজ্ঞতায়!
কোন নেয়ামতকে আমি অস্বীকার করবো
ডুবে আছি যেখানে তাঁর দেয়া অফুরন্ত প্রাণপ্রাচুর্যে!!
আমি যে বেঁচে আছি এখনও,
সেটাও কি তাঁর করুনাধারা নয়!!
হাছিনা মমতাজ ডলি – কবি