Ads

বেগম রোকেয়া একজন নারী জাগরণের আলোকবর্তিকা

ফারহানা শারমীন জেনী

খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, এখন আমরা বাঙ্গালী নারীরা যে স্বাধীনভাবে পড়ালেখা করতে পারছি কর্মযজ্ঞ সম্পাদন করতে পারছি, দেশ বিদেশে নিজেকে মেলে ধরার প্রয়াস পাচ্ছি তা উনিশ শতকের সূচনালগ্নে চিন্তা করা সম্ভব ছিলনা।
সেই অবরুদ্ধ অবগুণ্ঠিত আর রকমারি অলঙ্কারে সুসজ্জিত বাঙালি নারী সমাজকে অবমুক্ত করে যিনি আজ বিশ্বের দরবারে মাথা তুলে সুনিপুণভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি হলেন বাঙ্গালী নারী মুক্তির অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখওয়াত হোসেন। তিনি বাঙ্গালী নারীকে দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করেছিলেন।
১৮৮০সাল, ততকালিন অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার পায়রাবন্ধ গ্রামে ৯ই ডিসেম্বর পৃথিবীর বুকে ছুটে এসেছিলো এক উজ্জ্বল নক্ষত্র নারীজাগরনের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া। পৃথিবীর ইতিহাসে যুক্ত আরও একটি আলোকবর্তিকা জ্ঞানের বাতিঘর।
পিতা জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলি হায়দার সাবের ছিলেন দিনাজপুর জেলার সবচাইতে প্রভাবশালী ব্যক্তি। আর মাতা ছিলেন রাহাতুন্নেসা চৌধুরানী। তাঁরা দুজনেই ছিলেন বেশ উচ্চ বংশীয়া জমিদার শ্রেণীভুক্ত। তাই তো পায়রাবন্দের জমিদারী সম্পর্কে বেগম রকেয়া বলেনঃ
“আমাদের অবস্থা স্বচ্ছল ছিল– আমরা প্রায় সুখে খাইয়া পরিয়া গা ভরা গয়নায় সাজিয়া থাকিতাম—-আমাদের এ অরণ্যবেষ্টিত বাড়ির তুলনা কোথায় ।৷ ‍‌সাড়ে তিনবিঘা লাখেরাজ জমির মাঝখানে কেবল আমাদের এই সুবৃহৎ বাটি।“
তার এই শ্লেষ্মাত্মক লেখনী থেকেই পরিষ্কারভাবে প্রতিভাত হয় তিনি খুব কাছে থেকে জমিদারী রীতিতে নারীর অবরুদ্ধ জীবন অবলোকন করেছিলেন। সেই গৃহকোণ থেকে উপলব্ধি করেছিলেন বাঙ্গালী নারীর মুক্তির প্রয়োজনীয়তা।
তারা তিনভাই ও তিনবোন ছিলেন। শিশুকালেই ছোটভাই মৃত্যুবরণ করেছিলেন। বেগম রোকেয়ার দুইবোন করিমুন্নেসা ও হুমায়রা। তিনি ছিলেন বোনেদের মধ্যে দ্বিতীয়। তার দুই ভাই হলেন ইব্রাহীম সাবের ও খলিলুর রহমান আবু জায়গাম সাবের। তারা পাঁচ ভাইবোনই ছিলেন বিদ্যুতসাহি। বড়বোন এবং বড়ভাই এর উৎসাহেই তার বাংলা ও ইংরেজী শিক্ষার সূচনা ঘটে। তার পরিবার তৎকালীন সময়ে রক্ষণশীল পরিবার ছিল। মেয়েদের জন্য আলোর মুখ দেখা অসম্ভব বললেই চলতো। যেহেতু বাড়ির বাইরে পাঠগ্রহণ সম্ভব ছিলনা, সেহেতু বড়ভাই বাড়িতে বসেই বোনদেরকে পড়ার জন্য বাংলা ও ইংরেজী পাঠ্যপুস্তক সরবারহ করতেন। আর বলতেন, “বোন, এই সু্যোগ এখনই ইংরেজী আর বাংলা টা শিখে নে।“ যেহেতু ধর্মীয় শিক্ষার জন্য আরবী ও উর্দু কুরআন ও হাদিস জানার জন্য প্রয়োজন ছিল, তাই তার বাবা আরবী আর উর্দু শেখার সুযোগ করে দিয়েছিলেন বাড়িতেই। একারণে বাংলা ও ইংরেজী তাদের বাবার দৃষ্টির অগোচরেই শিখতে হয়েছে।
তিনি সবসময়ই স্বপ্ন দেখতেন পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় চেপে এমন একজন জীবনসঙ্গী আসবেন তাকে নিতে। তিনি এসেছিলেন ঠিকই কিন্তু পঙ্খীরাজ ঘোড়ায় চেপে নয় বরং বিদ্যার জাহাজে চেপে যা বেগম রোকেয়ার বাঙ্গালী নারী মুক্তির স্বপ্ন কে বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ সহায়তা করেন। তিনি কামনা করেছিলেন এমন একজন কে যিনি কোনো ভূস্বামী গৃহস্বামী বা স্বামী হবে না বরং উত্তম বন্ধু মনোভাবাপন্ন হয়ে উঠবেন। সাখাওয়াত হোসেন এমনই একজন বন্ধু মনোভাবাপন্ন জীবনসঙ্গী ছিলেন।
বেগম রোকেয়ার জীবনে তার বড়ভাই এবং স্বামী এই দুই পুরুষ নারী মুক্তির আন্দোলন কে সুগম করতে সাহায্য করেন। তৎকালীন সমাজে নারীদের কে দুর্বল করে রেখে নারীদের উপর অন্যায় অত্যাচার প্রতিষ্ঠার যে চিত্র ফুঁটে ওঠে তা তার নিম্নোক্ত লেখনী তেই প্রকাশ পায়। লেখনী টি হচ্ছে,
আমরা বহুকাল হইতে
দাসীপণা করিতে করিতে
দাসীত্বে অভ্যস্ত হইয়া
পরিয়াছি ক্রমে পুরুষরা
আমাদের মনকে পর্যন্ত
দাস করিয়া ফেলিয়াছে।
তাহারা ভূস্বামী গৃহস্বামী
প্রভৃতি হইতে হইতে
আমাদের ‘স্বামী’ হইয়া উঠিয়াছেন।
আর এই যে আমাদের
অলঙ্কারগুলি এগুলি
দাসত্বের নিদর্শন।
কারাগারে বন্দীগণ
লৌহনির্মিত বেড়ি পড়ে
আমরা স্বর্ণ রৌপের বেড়ি
পড়িয়া বলি “মল পরিয়াছি”
উহাদের হাতকড়া স্বর্ণ
বা রৌপ্যনির্মিত ‘চুড়ি’
অশ্ব হস্তি প্রভৃতি পশু
লৌহশৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকে
সেইরূপ আমরা স্বর্ণ শৃঙ্খলে।
কণ্ঠ শোভিত করিয়া
বলি হার পরিয়াছি!
গো-স্বামী বলদের নাসিকা
বিদ্ধ করিয়া “নাক দড়ী” পরায়
আমাদের স্বামী আমাদের
নাক-নোলক পরাইয়াছেন!…
অতএব দেখিলি ভগিনী
আমাদের ঐ বহুমূল্য অলঙ্কারগুলি
দাসত্বের নিদর্শন ব্যতীত
আর কিছুই নহে।
অভ্যাসের কি অপার মহিমা!
দাসত্বে অভ্যাস হইয়াছে বলিয়া
দাসত্বসূচক গহনাও ভালো লাগে।
অহিফেন তিক্ত হইলেও
আফিংচির অতি প্রিয় সামগ্রী।
মাদক দ্রব্যে যতই সর্বনাশ
হউক না কেন মাতাল
তাহা ছাড়িতে চাহে না।
সেইরূপ আমরা অঙ্গে দাসত্বের
নিদর্শন ধারণ করিয়াও
আপনাকে গৌরবান্বিতা মনে করি।
হিন্দুধর্মে সধবা স্ত্রীলোকের
কেশকর্ত্তন নিষিদ্ধ কেন?
সধবানারীর স্বামী ক্রব্ধ হইলে
স্ত্রীর সুদীর্ঘ কুন্তল দাম
হস্তে জড়াইয়া ধরিয়া
উত্তম মধ্যম দিতে পারিবে।
ধিক্ আমাদিগকে!
আমরা আশৈশব এই চুলের
কত যত্ন করি!
কি চমৎকার সৌন্দর্যজ্ঞান!…
( তথ্যসূত্রঃ রোকেয়া রচনাবলি; “অলঙ্কার না দাসত্বের নিদর্শন” বাংলা একাডেমী পৃষ্ঠা নং ৬০৫-৬০৬ )
তার এই লেখনী থেকেই আমরা বুঝতে পারি, তিনি যেহেতু জন্মেছিলেন জমিদার পরিবারে তাই জমিদার পরিবারের গণ্ডির মধ্যে সুচতুরতার সাথে নারীদের আপাদমস্তক অলংকারে সজ্জিত করে স্বামীদের প্রতি নিরঙ্কশ আনুগত্য প্রদর্শন পূর্বক নারীর মাঝে দাসত্বের মানসিকতার বীজ সুনিপুনভাবে বপন করার প্রবণতা খুব কাছ থেকে অবলোকন করেছেন। তিনি নারীদের অলঙ্কার ত্যাগ করে আত্মসম্মানবোধে উজ্জীবিত হয়ে আর্থরাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনে সচেষ্ট হতে আহ্বান জানিয়েছেন। এই লেখনী টিতে তিনি গৃহস্বামী ভূস্বামী হতে স্বামী হয়ে ওঠার মানে বলতে তিনি বুঝিয়েছেন প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠার কথা। কিন্তু স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক কখনো দাস-প্রভুর সম্পর্ক হতে পারেনা। কারন সৃষ্টিকর্তা নারী-পুরুষের বৈবাহিক বন্ধনকে উৎকৃষ্ট বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে পাঠিয়েছেন যেখানে একে অপরের প্রতি সম্মান সহমর্মিতা ও ভালবাসার অবাধ বিচরণ। বেগম রোকেয়া স্বামী-স্ত্রীর এই দাসত্বের সম্পর্ক কখনই মেনে নিতে পারেননি যা তার লেখনী গুলোতে পরিষ্কার ভাবে প্রতিভাত হয়। তিনি অলঙ্কার কে দাসত্বের প্রতীক বিবেচনা করেছেন এবং নারীদের আত্মসম্মানবোধ জাগ্রত করে আর্থ রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনে আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি এখানে পুরুষের প্রভুত্বকে অস্বীকার করেছেন তার মানেই এই না যে তিনি পুরুষদের অসম্মানিত এবং ছোট করেছেন। বরং তিনি ধর্মীয় গোঁড়ামি এবং কুসংস্কারমুক্ত হয়ে নারী-পুরুষকে মিলেমিশে আলোকিত সমাজ গড়ার কথা বলেছেন। তিনি কখনোই পুরুষকে ছোট করে দেখেননি। তাই তো তিনি লিখেছিলেন,
“আমরা সমাজের অর্ধাঙ্গ, আমরা পড়িয়া থাকিলে সমাজ উঠিবে কীরূপ? কোনো ব্যক্তি এক পা বাঁধিয়া রাখিলে সে খোঁড়াইয়া খোঁড়াইয়া কতদূর চলিবে? পুরুষের স্বার্থ এবং আমাদের স্বার্থ ভিন্ন নহে। তাহাদের জীবনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য যাহা আমাদের লক্ষ্য তাহাই।” ( ত থ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া )
তিনি যে নারীজাগরণের অগ্রদূত হয়েছিলেন এর পিছনেও রয়েছেন দুইজন উদারমনা পুরুষ। একজন তার বড় ভাই ইব্রাহীম সাবের এবং অপরজন তার প্রাণপ্রিয় জীবনসঙ্গী সাখাওয়াট হোসেন। যার স্বীকৃতি জ্ঞাপনপূর্বক তিনি তার পদ্মরাগ বইটি তার দাদা কে উৎসর্গ করেছিলেন এই বলেঃ “দাদা, তুমিই আমাকে হাতে গড়িয়া তুলিয়াছো।“ পাশাপাশি তিনি ভাগলপুরে যে গার্লস স্কুলটি নির্মাণ করেছিলেন সেটির নামকরণ করেছিলেন তার স্বামীর নামে। এই সবকিছু থেকে এটিই প্রতীয়মান হয় যে তিনি পুরুষদের ছোট করেননি বরং নারীদের কে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তির আলো দেখাতে চেয়েছেন, উশৃঙ্খল করতে চান নি।
বেগম রোকেয়া তার নারীমুক্তির অগ্রযাত্রার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন প্রবন্ধ সংগ্রহের প্রথম (১৯০৪) ও দ্বিতীয় খণ্ডে (১৯২২)। সুলতানার স্বপ্ন (১৯০৫), পদ্মরাগ (১৯২৪), অবরোধবাসিনী (১৯৩১) ইত্যাদি তার অন্যতম সৃজনশীল রচনা। তার রচিত সুলতানার স্বপ্নকে বিশ্বের নারীবাদী সাহিত্যে একটি মাইলফলক ধরা হয়। গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হবার পূর্বে তার লেখাগুলো নবনূর, সওগাত, মোহাম্মদী ইত্যাদি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। তার রচনার মাধ্যমে তিনি নারীশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা আর লিঙ্গসমতার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন। হাস্যরস আর ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের সাহায্যে পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীর অসম অবস্থানের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। তার রচনা দিয়ে তিনি সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন, ধর্মের নামে নারীর প্রতি অবিচার রোধ করতে চেয়েছেন, শিক্ষা আর পছন্দানুযায়ী পেশা নির্বাচনের সুযোগ ছাড়া যে নারী মুক্তি আসবে না প্রমাণ করেছেন।
বেগম রোকেয়ার কর্ম ও আদর্শ উদযাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর ৯ই ডিসেম্বর রোকেয়া দিবস উদযাপন করে এবং বিশিষ্ট নারীদের অনন্য অর্জনের জন্য বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করে।
এছাড়াও বাংলাদেশের ৭ম বিভাগ হিসেবে রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ ৮ অক্টোবর ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর ২০০৯ সালে ‘নারী জাগরণের অগ্রদূত’ হিসেবে তার নামকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়টির বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করেন । উল্লেখ্য , নারীর নামে বাংলাদেশে প্রথম কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এটি।
মহিয়সী বাঙালি নারী হিসেবে বেগম রোকেয়ার অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে[১৮] ছাত্রীদের আবাসনের জন্য আবাসিক হল “রোকেয়া হল” নামকরণ করা হয়। ১৯৮০ সালে বেগম রোকেয়ার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ দুটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছিল।
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন স্মরণে বাংলাদেশ সরকার একটি গণউন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে পৈতৃক ভিটায় ৩ দশমিক ১৫ একর ভূমির উপর নির্মিত হয়েছে বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র। এতে অফিস ভবন, সর্বাধুনিক গেস্ট হাউজ, ৪ তলা ডরমেটরি ভবন, গবেষণা কক্ষ, লাইব্রেরি ইত্যাদি রয়েছে। স্মৃতিকেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সর্বশেষ বর্তমান বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন, ‘গুগল’ বেগম রোকেয়ার ১৩৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাদের হোমপেজে বেগম রোকেয়ার গুগল ডুডল প্রদর্শন করে তার জন্মদিন উদযাপন করে। গুগল ডুডলটিতে দেখা যায় সাদা পোশাকে চশমা পরা বেগম রোকেয়া বই হাতে হেঁটে যাচ্ছেন। ( তথ্যসূত্রঃ বাংলাপিডিয়া )
বর্তমান যুগে নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন মহীয়সী এই নারী। তার সমস্ত জীবন বিশ্লেষণে আমরা দেখতে পায় একজন অত্যন্ত জ্ঞানী বিদ্যানুরাগী বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ধর্মীয় অনুশাসন পালনকারী সুশৃঙ্খল জীবন। বর্তমান নারী প্রজন্মের সামনে বেগম রোকেয়ার আলোকিত হওয়া একান্ত আবশ্যক। বাঙ্গালী নারীর আজকের এই আলোকিত সাফল্যমণ্ডিত স্বাবলম্বী জীবনের দ্বার উন্মোচন করে তার কাছে বাঙ্গালী নারী সারাজীবন কৃতজ্ঞতার দেনায় আবদ্ধ থাকবে। সৃষ্টিকর্তার কাছে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি তিনি যেন তাকে পারলৌকিক জীবনে মুক্তি দান করেন। বেগম রোকেয়ার নাম আমাদের সবার হৃদয়ে স্বর্ণাক্ষরে চির ভাস্বর হয়ে থাকুক এবং চির জাগরূক থাকুক স্বর্ণাক্ষরে।
নারী জাগরণের অগ্রদূত মহীয়সী এই বাঙ্গালী নারী ১৯৩২ সালের ৯ই ডিসেম্বর কোলকাতায় তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তথ্যঃ উইকিপিডিয়া,10 minutes school blog.

লেখকঃ সাহিত্যিক ও সহ- সম্পাদক, মহীয়সী

আরও পড়ুন