Ads

 বিশ্ব হিজাব দিবসঃ মুসলিম নারীদের জন্য এর তাৎপর্য ।। ১ম পর্ব

প্রথম পর্ব

।। জামান শামস ।। 

হিজাব নারী জীবনের একটি মহান অনুষঙ্গ। হিজাব নারীকে সম্মানিত ও মর্যাদাশীল করেছে। এর মাধ্যমে ইসলাম নারীর মর্যাদাকে সমুন্নত করে সমাজের স্বাভাবিক কর্মপ্রবাহকে করেছে মার্জিত ও পরিশীলিত।‘নারীর হিজাব পরার পক্ষে দাঁড়ান’—এ আহ্বানকে সামনে রেখে ১লা ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী ‘হিজাব দিবস’ পালিত হয়। বাংলাদেশসহ বর্তমানে বিশ্বের ১৯০টিরও বেশি দেশে এ দিবসটি পালিত হয়।

২০১৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক হিজাব দিবস পালন শুরু হয়। আর এটা অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে, একজন বাংলাদেশী নারীর আহ্বানেই এই হিজাব দিবসের যাত্রা শুরু হয়। নাজমা ব্যাখ্যা করেন, “আমি ২০১৩ সালে বিশ্ব হিজাব দিবস প্রতিষ্ঠা করেছি যখন বুঝতে পেরেছিলাম যে হিজাব পরার জন্য বৈষম্যের শিকার আমি একা নই ।  বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আমার বোনরাও এটি পরার জন্য অপব্যবহার ও বৈষম্যের শিকার । অতএব, আমি হিজাব সম্পর্কে বৃহত্তর সচেতনতা এনে এবং ধর্মীয় মত প্রকাশের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার প্রচার করে তাদের পরিস্থিতি সহজ করতে তাদের সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। তাই, আমি প্রতিটি পটভূমি ও বিশ্বাসের নারীদের প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বের মুসলিম নারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে হেড স্কার্ফ পরতে বলেছি।”

নাজমা, একজন বাংলাদেশী অভিবাসী যিনি অল্প বয়সে আমেরিকায় এসেছিলেন । তিনি সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে যে কুসংস্কারের মুখোমুখি হয়েছিলেন তা স্মরণ করেন। “নিউইয়র্কে বেড়ে ওঠা, স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পরার জন্য আমি মৌখিক এবং শারীরিকভাবে অনেক বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছি। স্কুলে ছাত্ররা আমাকে ‘ব্যাটম্যান’, ‘নিনজা’ এবং ‘মাদার তেরেসা’ নামে ডেকে নিয়ে আমাকে উপহাস করত এবং অপমান করত।”

হিজাব পরিধানকারী মুসলিম নারীদের সম্মান জানাতে প্রতি বছর ১লা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব হিজাব দিবস পালন করা হয়। এটি বিভিন্ন উত্স এবং বিশ্বাসের মহিলাদের হিজাব পরতে চেষ্টা করার এবং এটি পরতে কেমন তা দেখার জন্য আহ্বান জানানোর একটি দিন। মুসলিম নারীরা হিজাব পরিধান করে তাদের শালীনতা বজায় রাখে।

হিজাবের ব্যবহার ১৯৭০ এর দশক থেকে বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অনেক মুসলমান এটিকে শালীনতা এবং বিশ্বাসের প্রকাশ হিসাবে দেখেন। বিশ্বব্যাপী নারীর সচেতনতা বাড়াতে এবং মাথা ঢেকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিশ্ব হিজাব দিবস উদযাপন করে।মুসলিম মহিলাদের জন্য হিজাব হল আল্লাহ তায়ালার দেওয়া একটি ঐশ্বরিক আদেশ যা বিশ্বাসী (ঈমানদার) মুসলিম মহিলাদের দ্বারা অনুশীলন ও পালন করা হয়। বয়ঃসন্ধি বয়সে পৌঁছেছে এমন সমস্ত মহিলা মুসলমানদের জন্য এটি বাধ্যতামূলক আচার। সুতরাং এ দিবসটি প্রতিকী হলেও এর আবেদন সার্বজনীন অর্থাৎ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল নারীর কাছে হিজাবের পরিচিতি ও সম্মান তুলে ধরাই মূল উদ্দেশ্য। তবে কখনোই হিযাব মানে পূর্ণ পর্দার অনুশীলন নয়, এ বিষয়ে মুসলিম মহিলাদের আরো বিস্তর জানা ও মানার প্রয়োজন রয়েছে।

আরও পড়ুন-হিজাব এবং আমাদের সামাজিক সৌন্দর্য

আসলেই হিজাব কী? তা পরে কেন?

হিজাব পরার সহজ উত্তর হলো, নারীর জন্য পবিত্রতার প্রতীক হলো হিজাব। এটি নারীর জন্য মহান আল্লাহর বিধান। তিনি প্রত্যেক ঈমানদার নারীর জন্য হিজাব পরাকে আবশ্যক করেছেন। ঈমানদার নারীরা আল্লাহর বিধান পালনে তা পরতে বাধ্য। এ হিজাব নারীর শালীন চলাফেরা ও নিরাপত্তার কার্যকারী উপায়। হিজাব পরলে নারী-পুরুষের মাঝে শালীন অনুভূতি কাজ করে। ‘হিজাব বা পর্দা’ নারীর সৌন্দর্য ও মর্যাদার প্রতীক। নারীর সতীত্ব ও ইজ্জত-আবরুর রক্ষাকবচ। নারী-পুরুষ উভয়ের চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষার কার্যকর উপায়। ইসলাম পর্দা পালনের যে বিধান আরোপ করেছে তা মূলত অশ্লীলতা ও ব্যভিচার নিরসনের লক্ষ্যে এবং সামাজিক অনিষ্টতা ও ফেতনা-ফাসাদ থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।

হিজাব শব্দটির অর্থ বিভাজন। এটি পর্দা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। কুরআনে মাথার স্কার্ফের পরিভাষা হলো খিমার। সম্পর্কহীন পুরুষদের কাছ থেকে শালীনতা ও গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য মুসলিম মেয়েরা হিজাব পরিধান করে। কুরআন মুসলিম নারী ও পুরুষদের শালীন পোশাক পরার নির্দেশ দেয়। হিজাব হলো একই ধরনের জিলবাব বা হেডস্কার্ফের নাম। এটি পাশ্চাত্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ওড়না। এই ওড়না এক বা দুটি স্কার্ফ নিয়ে গঠিত যা মাথা ও ঘাড় ঢেকে রাখে। পাশ্চাত্যের বাইরে, এই ঐতিহ্যবাহী বোরকা আরব বিশ্বের এবং তার বাইরেও অনেক মুসলিম মহিলা পরিধান করেন। নারী-পুরুষ উভয়ের পবিত্রতা রক্ষার অতি সহজ ও কার্যকর উপায় হলো ইসলামের পর্দার বিধান। এই বিধানের অনুসরণের মাধ্যমেই হৃদয়-মনের পবিত্রতা অর্জন করা সম্ভব। শালীনতা অর্জনের জন্য এবং বস্তুবাদী জগতের ভোগ-মোহ থেকে নারী ও পুরুষ উভয়ের মনোযোগকে আধ্যাত্মিক জগত তথা আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য মহিলাদের হিজাব পরতে বলা হয়েছে।

হিজাব সম্পর্কে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি সুস্পষ্ট। কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশনায় সব নারীর জন্য হিজাব ঐ রকমের ফরজ যেমন ঈমান, নামাজ,রোজা হজ্জ ও যাকাত।। পর্দা-বিধান ইসলামী শরীয়তের পক্ষ থেকে সাধারণভাবে সমাজ-ব্যবস্থার এবং বিশেষভাবে উম্মতের মায়েদের জন্য অনেক বড় ইহসান। এই বিধানটি মূলত ইসলামী শরীয়তের যথার্থতা, পূর্ণাঙ্গতা ও সর্বকালের জন্য অমোঘ বিধান হওয়ার এক প্রচ্ছন্ন দলিল।অনেকে মনে করেন, পর্দা-বিধান শুধু নারীর জন্য। এ ধারণা ঠিক নয়। পুরুষের জন্যও পর্দা অপরিহার্য। তবে উভয়ের পর্দার ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। যে শ্রেণীর জন্য যে পর্দা উপযোগী তাকে সেভাবে পর্দা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পূর্বেই বলেছি, নারী-পুরুষ উভয়ের পবিত্রতা রক্ষার অতি সহজ ও কার্যকর উপায় হল ইসলামের পর্দা বা হিজাব বিধান। এই বিধানের অনুসরণের মাধ্যমেই হৃদয়-মনের পবিত্রতা অর্জন করা সম্ভব। পর্দার এই সুফল স্বয়ং আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন।

ইরশাদ হয়েছে-

‎‫ذٰلِكُمْ اَطْهَرُ لِقُلُوْبِكُمْ وَ قُلُوْبِهِنَ “”এই বিধান তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। (সূরা আহযাব: ৫৩)

সুতরাং মানবসমাজকে পবিত্র ও পঙ্কিলতামুক্ত রাখতে পর্দা-বিধানের কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে বর্তমান সমাজের যুবক ও তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা ও নারীজাতির নিরাপত্তার জন্য পর্দা-বিধানের পূর্ণ অনুসরণ এখন সময়ের দাবি।

পর্দা-বিধান কুরআন মজীদে যেসব মূলনীতি উপস্থাপন করে-

এক. চাদর দিয়ে নারীদেহ আবৃত করা

‎یٰۤاَیُّهَا النَّبِیُّ قُلۡ لِّاَزۡوَاجِکَ وَ بَنٰتِکَ وَ نِسَآءِ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ یُدۡنِیۡنَ عَلَیۡهِنَّ مِنۡ جَلَابِیۡبِهِنَّ ؕ ذٰلِکَ اَدۡنٰۤی اَنۡ یُّعۡرَفۡنَ فَلَا یُؤۡذَیۡنَ ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا

হে নাবী! তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মু’মিনা নারীদেরকে বলঃ তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজতর হবে, ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবেনা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আহযাব ৫৯)

‎جَلاَبِيْبُ শব্দটি جِلْبَابٌ এর বহুবচন। তা এমন বড় চাদরকে বলা হয়, যাতে পুরো শরীর ঢেকে যায়। নিজের উপর চাদর টেনে নেওয়ার অর্থ চেহারার উপর এমনভাবে ঘোমটা নেওয়া যাতে চেহারার অধিকাংশ ঢেকে যায় এবং চক্ষু নিচু করে চলাতে রাস্তাও দেখা যায়। সে যুগের মহিলারা অতি সাদাসিধা লেবাস পরিধান করত। তাদের মাঝে সাজসজ্জা করে বাইরে নিজ সৌন্দর্য প্রকাশ করার মন-মানসিকতা ছিল না। যার ফলে একটি বড় চাদরেই পর্দার আসল উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়ে যেত। এরকম বড় চাদরের প্রচলন এখনো কোথাও কোথাও আছে।তবে এর সাথে বোরকা পরিধানেরও প্রচলন রয়েছে।অর্থাৎ মেয়েদের স্বাভাবিক পোশাকের এটি অতিরিক্ত তবে তা মুখমন্ডল ঢাকতে কি খোলা রাখবে সে বিষয়ে দু’টি মত রয়েছে।উভয়টিই সৌদি আরবসহ অধিকাংশ মুসলিম দেশে অনুসরনের উদাহরণ রয়েছে। কেউ বলেছেন-তার দ্বারা একজন ভদ্র ও লজ্জাশীলা মহিলা এবং নির্লজ্জ ও অসতী মহিলার পরিচয় লাভ হয়। পর্দা করা দেখে বোঝা যাবে যে, এটা ভাল ঘরের মহিলা; যাকে টিপ্পনি কাটার ক্ষমতা কারোর হবে না। আবার অন্যরা বলেছেন-“এতে তাদের চেনা সহজতর হবে” বলতে ফিজিক্যালী তাকে ‘রহিমা’ ‘নাসিমা’ বলে সনাক্ত করা যাবে। দৃষ্টিকে নিম্নগামী করার আদেশ দ্বারাও এই অর্থ বুঝায়।

আরও পড়ুন-নারীর সত্যিকারের স্বাধীনতা আসে যেভাবে

দুই.পুরুষ পর্দার আড়াল থেকে মহিলার কাছে চাইবে

وَ اِذَا سَاَلۡتُمُوۡهُنَّ مَتَاعًا فَسۡـَٔلُوۡهُنَّ مِنۡ وَّرَآءِ حِجَابٍ ؕ ذٰلِکُمۡ اَطۡهَرُ لِقُلُوۡبِکُمۡ وَ قُلُوۡبِهِنَّ

তোমরা তাঁদের (নবী পত্নীদের) নিকট কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাও। এই বিধান তোমাদের ও তাদের হৃদয়ের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। (সূরা আহযাব : ৫৩)

এই আয়াত থেকেও বোঝা যায়, নারীর দেহের কোনো অংশই পর্দা-বিধানের বাইরে নয়। উম্মুল মুমিনীনগণের আমলও তা প্রমাণ করে। এই আয়াতে যখন পর্দার বিধানকে সাহাবায়ে কেরাম ও উম্মুল মুমিনীনদের জন্যও অধিকতর পবিত্রতার উপায় বলা হয়েছে তখন উম্মতের আর কে আছে যে এই বিধানের বাইরে থাকতে পারে?

এই বিধান উমার (রাঃ)-এর বাসনার পরিপ্রেক্ষিতে অবতীর্ণ হয়েছে। তিনি একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নিকট আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনার নিকট সৎ-অসৎ হরেক রকমের লোক আসা যাওয়া করে, আপনি আপনার পত্নীগণকে পর্দা করার আদেশ দিলে খুবই ভাল হত। এর পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা এই পর্দার হুকুম নাযিল করেন।(সহীহ বুখারী ৫১৬৩)

তিন. নারী ও পুরুষ উভয়েই দৃষ্টিকে নিম্নগামী করবে

قُلۡ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ یَغُضُّوۡا مِنۡ اَبۡصَارِهِمۡ وَ یَحۡفَظُوۡا فُرُوۡجَهُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَزۡکٰی لَهُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰهَ خَبِیۡرٌۢ بِمَا یَصۡنَعُوۡنَ

মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।

‎‫وَ قُلْ لِّلْمُؤْمِنٰتِ یَغْضُضْنَ مِنْ اَبْصَارِهِنَّ وَ یَحْفَظْنَ فُرُوْجَهُنَّ وَ لَا یُبْدِیْنَ زِیْنَتَهُنَّ اِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا

মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আভরণ প্রদর্শন না করে। (সূরা নূর : ৩০-৩১)

এখানে নারী পুরুষ উভয়কেই পর্দার আওতায় আনা হয়েছে এবং উভয়কেই দৃষ্টির হিফাযত করতে বলা হয়েছে।

জারীর ইবন আব্দুল্লাহ বাজালী থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “ইচ্ছা ছাড়াই হঠাৎ কোন বেগানা নারীর উপর দৃষ্টি পতিত হলে সেদিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও। [মুসলিমঃ ২১৫৯] আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসে আছে, ‘প্রথম দৃষ্টি মাফ এবং দ্বিতীয় দৃষ্টিপাত গোনাহ্। [আবু দাউদঃ ২১৪৯, তিরমিযীঃ ২৭৭৭, মুসনাদে আহমাদঃ ৫/৩৫১, ৩৫৭]

চার. পুরুষকে আকৃষ্ট করে এমন সব কাজ থেকে বিরত থাকা

‎‫وَ لَا یَضْرِبْنَ بِاَرْجُلِهِنَّ لِیُعْلَمَ مَا یُخْفِیْنَ مِنْ زِیْنَتِهِنَّ ؕ وَ تُوْبُوْۤا اِلَی اللّٰهِ جَمِیْعًا اَیُّهَ الْمُؤْمِنُوْنَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ

তারা যেন তাদের গোপন আভরণ প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে। হে মুমিনগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা নূর : ৩১)

এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, পর পুরুষকে আকৃষ্ট করে এমন সব কাজ থেকে বিরত থাকা ঈমানদার নারীর কর্তব্য। কারণ পরপুরুষকে নুপুরের আওয়াজ শোনানোর উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ যখন নিষেধ করা হয়েছে তখন যে সকল কাজ, ভঙ্গি ও আচরণ এর চেয়েও বেশি আকৃষ্ট করে তা নিষিদ্ধ হওয়া তো সহজেই বোঝা যায়।

চলবে- পরের পর্ব- বিশ্ব হিজাব দিবসঃ মুসলিম নারীদের জন্য এর তাৎপর্য ।। ২য় পর্ব

লেখকঃ জামান শামস, কলাম লেখক এবং সাবেক এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইসলামী ব্যাংক পিএলসি

…………………………………………………………………………………………………………………………

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সমাজ,পরিবার ও আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ লেখা ও আর্টিকেল পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi  তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। প্রিয় লেখক! আপনার  পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে-  [email protected]  ও  [email protected] ; প্রিয় লেখক ও পাঠক আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম এ যুক্ত হয়ে আমাদের সাথেই থাকুন এবং সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট হইন । আল্লাহ আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমিন ।

আরও পড়ুন