Ads

মনে পড়ে সেই “খাইরুল কুরুন” বা স্বর্ণ যুগের কথা ।। ১ম পর্ব

।। জামান শামস ।।

হযরত আবু বকর রা. খলিফা নির্বাচিত হওয়ার ৬ মাস পর্যন্ত সরকারি বায়তুল মাল থেকে কোন ভাতা গ্রহণ করেননি। পরিধেয় বস্ত্র, ছাগল ও ভেড়া ব্যাবসার লাভ দিয়ে সংসার চালাতেন।

একদিন তিনি কাঁধে কাপড়ের থান নিয়ে বাজারে রওনা হন। পথিমধ্যে ওমর রা. এর সাথে দেখা হলে তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করেন- আমিরুল মুমিনিন কোথায় যাচ্ছেন? বললেন- কাপড় নিয়ে বাজারে যাচ্ছি বিক্রি করতে। উমর রা. সবিনয় বললেন, আপনার কাঁধে গোটা উম্মতের দায়িত্ব। আপনি ব্যাবসা ছেড়ে দিন, উম্মতের চিন্তা করুন। আবু বকর রা. বললেন, তাহলে আমার পরিবার চলবে কিভাবে?

উমর রা. বললেন, বায়তুল মালের জিম্মাদার আবু উবায়দাহ ইবনে জাররাহ রা. নিকট গিয়ে বলুন আপনার জন্য বেতন নির্ধারণ করতে।

আবু বকর রা. পরামর্শ মোতাবেক তার কাছে গেলেন। বেতন সম্পর্কে আলেচনা হলে আবু উবায়দাহ রা. খলিফাকে বললেন, আপনাকে একজন মুহাজিরের সমপরিমাণ ভাতা দেয়া হবে, অতিরিক্ত ২ জোড়া কাপড় পাবেন। শীত এবং গ্রীষ্ম কালের জন্য। তবে ১ জোড়া পুরাতন হলে জমা দিয়ে আরেক জোড়া নিতে হবে।

আয়েশা রা. বলেন, আমার পিতা খলিফা নিযুক্ত হওয়ার ছয় মাস পর বাইতুল মাল থেকে বার্ষিক ৬ হাজার দিরহাম ভাতা নির্ধারণ করা হয়।

মৃত্যু শয্যায় শায়িত অবস্থা তার সন্তানদের অসিয়ত করে বললেন- “এ পর্যন্ত বায়তুল মাল থেকে যে পরিমাণ ভাতা গ্রহণ করেছি আমার অমুক জমিটা বিক্রি করে তা ফেরত দিয়ে দিবে”।

এ অসিয়ত শুনে ওমর রা. এসে তাঁকে অসিয়ত প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। কিন্তু আবু বকর রা. কোন জবাব দেননি। ওমর রা. বলেছিলেন, সিদ্দিকে আকবর, পরবর্তীদেরকে আপনি কষ্টে ফেলে গেলেন।

সূত্র: শাসক সাহাবিদের সোনালি ইতিহাস, পৃষ্ঠা-৩৩-৩৪।

লেখকঃ জামান শামস, কলাম লেখক এবং সাবেক এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি

…………………………………………………………………………………………………………………………

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সমাজ,পরিবার ও আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ লেখা ও আর্টিকেল পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi  তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। প্রিয় লেখক! আপনার  পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে-  [email protected]  ও  [email protected] ; প্রিয় লেখক ও পাঠক আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম এ যুক্ত হয়ে আমাদের সাথেই থাকুন । আসুন সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট হই । আল্লাহ আমাদের সমস্ত নেক আমল কবুল করুন, আমিন ।

আরও পড়ুন