Ads

যে আয়াত জাপানের ড. আতসুশিকে মুসলিম বানাল

।। নুরে আলম মুকতা ।।

 

জাপানের রা্ষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. আতসুশি কামাল আকুদাইস ইসলাম গ্রহণ করেছেন । আমার কাছে এটি বড় কোন সংবাদ কখনই নয়। আসলে এটি বড় কোন সংবাদও নয়। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে কেন আপনি লেখা শুরু করলেন ? প্রিয় বন্ধু, এটি আমার বিবেকের দায় । দয়া করে ত্রুটি মার্জনা করবেন । এ জবাবটি দেয়ার জন্যেই তো মাদুর পেতে বসলাম প্রিয় বন্ধু । চলুন একটু আলোচনা করি । আমি নিশ্চয়ন করছি এ আলোচনায় জীবনের বাঁক ঘুরে যেতে পারে পরম প্রশান্তিময় পথে । আমি আমার বন্ধুদের প্রায়ই একটি কথা বলে থাকি- বুকে হাত রাখুন, কেবলাহ মুখি হন। মনে মনে কল্পনা করুন আমি আত্মসমর্পণকারী। ভাবতে থাকুন কতগুলো বই পড়েছি। কোনটি জীবনে নীতি নৈতিকতা, মুল্যবোধ, মানবিকতা, সন্তুষ্টি, ইহকাল পরকাল সৃষ্টি ধ্বংস ইত্যাদি বিষয়ে আপনাকে সমৃদ্ধ করেছে এবং সর্বোপরি আপনি জীবনে প্রশান্তি অর্জন করেছেন ?

 

 আরও পড়ুন-আপনার সন্তানকে বন্ধু বানান

অনেক বই পড়ে পুলকিত হয়েছি, আমার মাতৃভাষা সমৃদ্ধ হয়েছে । ভাষা সাহিত্য বিজ্ঞান দর্শনের কিছু কুটচাল শিখেছি; কিন্তু মহানন্দের মঙ্গলালোকে যেতে পারিনি। আমরা সৌভাগ্যবান যে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত হতে পেরেছি । আর আমাদের উপহার দেয়া হয়েছে মহামুল্যবান মহাগ্রন্থ আল কুরআন যা কোন মানুষের লেখা নয় । এটি অবিকৃত আসমানি কেতাব।
আমি একটি বিশ্বখ্যাত বই পড়ছিলাম। ক্ষমা করবেন। সঙ্গত কারণে এখানে লেখকের নাম আর বইটির নাম উল্লেখ করতে পারলাম না । আমি যখন কোন বই পড়ি তখন ধরে নিই , আমি বইটি লেখার সময়ে বা তার আরও কিছু কাল আগে ডুব দিচ্ছি । ঐ সময়ের ভাষা সাহিত্য এবং মানুষের জীবন-সংগ্রাম-আনন্দ-বেদনার ইতিহাস জানব। নিজেকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করব। এর বেশি আমি কামনা করি না। আসলে সেটি ব্যতিত আর কিছু হয়ও না ।
পৃথিবীর সমস্ত গ্রন্থ এক পাশে রেখে আসুন মহাগ্রন্থ আল কুরআন পড়ি। আসমানি কেতাব। কোন মানুষের লেখা নয়। দয়া করে চলুন বোঝার চেষ্টা করি ,বদলে যাবে জীবন, প্রশান্তিময় সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে ধাবিত হবে আমাদের সময় । এবার আসল কথা তথা আসল শিরোনামে যাই,  “ড. আতসুশি কামাল আকুদাইস !”
একজন জাপানী রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং গবেষক। কর্মস্থল জাপানের কিইও বিশ্ববিদ্যালয় । তিনি প্রচুর পড়েছেন। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব পড়েছেন। মহাগ্রন্থ আলকুরআন পড়ে বিস্মিত হয়ে আরবীর প্রতি ঝুঁকেছেন ।
বলে রাখা ভাল যে , আরবী ভাষা সেমেটিক, হিব্রু ও আরামীয় ভাষার সাথে যুক্ত। এটির প্রায় ২৭ টি উপভাষা আছে। আরবী হল সেমেটিক ভাষা বংশের সবচেয়ে সুন্দরতম সুললিত ও সুগঠিত ভাষা।
ড. আকুদা  আরবী ভাষা শিক্ষার জন্য সিরিয়ার আলেপ্পো গিয়েছিলেন। বহু পরিশ্রম করেছেন আরবীর বুৎপত্তিগত শিক্ষা অর্জন করার জন্য । অনেকেরই জানার ইচ্ছা হতে পারে কেন এ ঘটনা ঘটল। আমরা আমলে নিই যে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজেই এর সমাধান টেনে দিয়েে বলেছেন, হেদায়াতের মালিক তিনি । যাকে যখন তিনি কবুলে মকবুল করবেন তিনি তখন মহাভাগ্যবানদের সারিতে প্রবেশ করবেন। আমাদের মনে রাখতে হবে যে বস্তুবাদিতার চরম শিখরে বসবাস করেন জাপানের লোকজন।
আকুদা ভাইজান কি বলেছেন চলুন উনার নিজের জবানিতেই শুনে আসি-

 

Dr. Okudais is very nice example for Muslims in Japan. He took an interest into the Islamic legislation, He moved to Aleppo-Sayria to continue his studies and to learn Arabic. He says: “At that moment! I converted to Islam.. I believe that this is the greatest gift from Allah in my life!.” He explained before his life in Islam , ” Before islam my life was barbaric–Very barbaric! Ignorant. I didn’t know the truth. “

 

ড. আকুদা জাপানী বিজ্ঞানী আর শিক্ষাবিদ হিসেবে প্রখ্যাত। তিনি প্রচুর জানাশোনা মানুষ। পলিটিক্যাল সিস্টেমের প্রফেসর।আসমানী মহাগ্রন্থের একটি মাত্র আয়াত তাঁর জীবন আলোকে উদ্ভাসিত করেছে। কুরআনের প্রতিটি আয়াত বিশেষ তাৎপর্য মন্ডিত । এবার জেনে আসি কোন আয়াতটি আকুদা স্যারের মনে প্রাণে প্রবল প্রভাব বিস্তার করেছিল,
ড. আকুদা বলেন, আমি স্বল্প জ্ঞানের কারণে লক্ষ্যহীন আর অনৈতিক জীবন যাপন করছিলাম। তারপর বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে পড়াশোনা শুরু করি। তখন আমি কুরআন পড়তে গিয়ে একটি আয়াত পড়ে থমকে যাই যা আমার জীবন বদলে দিয়েছে , ” আর আমি অবশ্যই মানুষকে সৃষ্টি করেছি শুকনো ঠনঠনে, কালচে কাদামাটি থেকে” সুরা- হিজর, আয়াত – ২৬
তিনি আরও বলেন, ” মুসলিম হওয়ার পর আমি যে মনে প্রশান্তি ও আনন্দ অনুভব করছি তা আগে কখনও পাই নি। আমি বিশ্বাস করি ইসলাম ধর্ম গ্রহন করতে পারা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি । “
আল হিজর সুরার ৮০ নম্বর আয়াত থেকে এ শব্দটি দিয়ে সুরাটির নামকরণ করা হয়েছে,আরবী হিজর শব্দের অর্থ ” পাথর “
শিরক করার ফলে মানুষের হৃদয় শক্ত পাথরের মত কঠিন হয়ে যায় আর সত্যকে অস্বীকার করার জন্য ইবলিশের কি হাল হয়েছিল তা সুরা আল হিজরে বর্ননা করা হয়েছে।
ড. আকুদা ভায়ের ওপর প্রভাব বিস্তারকারী আল হিজরের আয়াতটি আর একবার বলে শেষ করতে চাই । আল্লাহ আমাদের সহীহ ও সঠিক বুঝ দান করুন, আমাদের অন্তঃকরণ খুলে দিন , আমীন । আউজুবিল্লাহি মিনাস শায়তানির রাজিম, বিসমিল্লাহ হির রাহমানির রাহিম
“ওয়া লাকাদ খালাকনাল ইনশানা মিন সালসালিম মিন হামায়িম মাসনুন ” অর্থ আর অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি শুকনো ঠনঠনে, কালচে কাদামাটি থেকে (আল-বায়ান)
তথ্যসূত্র ও ছবিঃ দৈনিক জং ও ইন্টারনেট

লেখকঃ নুরে আলম মুকতা, সাহিত্যিক ও শিক্ষক 

ফেসবুকে লেখকের প্রোফাইলের লিংক-Nurealam Mukta

যে আয়াত জাপানের ড. আতসুশি কামাল আকুদাইস কে মুসলিম বানাল – যে আয়াত জাপানের ড. আতসুশি কামাল আকুদাইস কে মুসলিম বানাল – যে আয়াত জাপানের ড. আতসুশি কামাল আকুদাইস কে মুসলিম বানাল

আরও পড়ুন