Ads

একটি সত্য মামলা

।। মাসুমা তাসনিম ।।

আমি আজ এ আসরে

কবিতার মায়াজালে জড়াবো না কাউকে,

গল্পের কথোপকথনের মুগ্ধতায়, কারো খেই হারাবো না,

শ্রোতাদের সম্মোহিত করবো না সুরের ইন্দ্রজালে।

কথা দিচ্ছি, কোন রসগ্রাহী পাঠককে

ব্যাকুল করবো না, রূপকথার রহস্যমায়ায়।

তবে আমি কেন এসেছি আসরে?

বলছি,

আমি এসেছি একটি সত্য প্রকাশের জন্য।

মিথ্যের সোঁতায় সবাই আজ সত্য ভুলতে বসেছে কিনা! তাই।

মনে আছে, পলিথিনে মোড়ানো

ঐ অপরিণত শিশুর মরদেহর কথা? যাকে

পাওয়া গেছিল মাতাল, ভিখারি ও

কুকুরদের পাশে রাখা ডাস্টবিনে!

ঘটনাস্থলের পাশেই, মুদি দোকানদার

সবুর আলী প্রথমে দেখতে পায়।

 

পুলিশে খবর দিলে তারা টিম নিয়ে হাজির হয়।

অপরিণত শিশুর মরদেহ কিনা! তাই

ওখানেই তাকে মাটি চাপা দেয়া হয়।

তবে এর পেছনের গল্পটা খুব পরিণত।

শিশুটির মায়ের নাম দিপ্তী,পিতৃহীন

মেয়েটিকে হাল ধরতে হয় সংসারের।

কর্মস্থল হতে ফিরতি পথে, বিশৃংখল অন্ধকারে,

তাকে নিয়ে যেত গন্ধর্ব পশু মানুষেরা।

মেয়েটিকে বাঁচার নেশা ধরিয়ে দিয়েছিল

সংসারের অভুক্ত মুখগুলি!

আর তাই,সে দিয়েছিল জন্মনিরোধক সুচ।

শেষ যন্ত্রণার দিনে গোঁয়ার মানুষ গুলোর পা ধরে

দীপ্তি বলেছিল,দয়া করে

আমাকে আজ ছেড়ে দাও,

আমার সুচের মেয়াদ শেষ…

লকলকে রক্ত জিভের ওরা কথা শুনে নি।

আর তাই, অপরিণত শিশুর মরদেহ

পাওয়া গেছিল সেদিন।

আর দীপ্তি হয়েছিল সদর হাসপাতালের

বেওয়ারিশ লাশ,

আরশে দায়ের হয়েছিল একটি সত্য মামলা।

২৭/১০/২০২২

বিকাল -৪:৪৯

আরও পড়ুন