।। সালমা বিনতে হাসান ।।
দূর হতে শুধু চেয়ে চেয়ে কোরআনের পাখির
ভুগতে ভুগতে চলে যাওয়া দেখেছি…
স্ট্যাটাস দিয়েছি, দোয়া করেছি, দায়িত্বমুক্ত হয়েছি।
হৃদয়ে ক্ষরণও হয়েছে বটে…
কিন্তু এটি ক্ষরণ পর্যন্তই…।
এই ক্ষরণকে পারিনি বারুদের স্ফুরণ করতে,
পারিনি জালিমের তখতে আগুন ধরাতে,
পেরেছি শুধু দুনিয়ার জন্য নিজেকে পাকাপোক্ত করতে…
পারিনি শত শত কুরআনের পাখির জন্ম দিতে,
পেরেছি জন্ম দিতে দিনের পর দিন লালন করা বন্ধ্যা বিবেকের….
নিজের বৃদ্ধ বাবার হার্ট কে বাঁচিয়ে রাখার
প্রাণান্তকর চেষ্টায় যখন রত এই আমি…
তখন কুরআনের পাখির হার্ট ভালো রাখার
সুযোগটুকুও পেলোনা তার পরিবার।
একটিবারের জন্য নিজেকে প্রশ্ন করেছি কি
এই পরিবারটির সর্বোচ্চ ত্যাগ কার জন্য??
শহীদের খুন রাঙ্গা পথে দিব্যি হেঁটে বেড়ানো
আমার মত মুনাফিকের জন্য…
পারবো কি দায় এড়াতে
সব দোষ জালিমের কাঁধে তুলে দিয়ে??
দীর্ঘ ১৩ টি বছর কারাগারে অবরুদ্ধ থাকার বিপরীতে
কি সান্ত্বনা তৈরি করেছি কুরআনের পাখি
এবং তার পরিবারের জন্য….?
ধিক বন্ধ্যা মুসলিম উম্মাহ!! শত ধিক এই আমাকে!!!
কবিঃ সালমা বিনতে হাসান
আরও পড়ুন-
মাওলানা সাঈদীর লাশ যাচ্ছে পিরোজপুর, কাল বায়তুল মোকাররমে জানাজা