নাজমা বেগম নাজু
দৈবিক বিশ্বাকাশে
নিয়তের নীলাচল-
নিশ্চুপ রাগিনীর প্রান্তে,নিঃসঙ্গ যাত্রাপথ—
ঐ পথে এসো।
ঐ পথে এসো তুমি
আজম্ম আকাঙ্খিতা
সুকল্যানিয়াসু–
মংগল জাগানিয়া,মোহিনী প্লাবন
তুমি এসো।
একা তুমিই এসো
ছদ্মবেসে- বসন্ত শুরুর
সোহাগ রেণু মাখা– নরম পাপড়ির বেসে;
চাঁদ কুঠীর ঢেকে গেলে –
অসময়ের মেঘ জল সপ্তডিংগা নায়ে
অসমাপ্ত কাব্যগানে রঙমাখা হলে
ফাগুনের মাধুরিকা সমাবেশ।
যখন শেকড়গাঁথা মাটির শঙ্খনীড়ে
বাহারী ঘাসবন সবুজ ছড়াবে আলগোছে
আলতো সুরে হৃদয় নির্যাসে গেয়ে উঠো
গৃহমুখী জয়গান-
ঘরে ফেরার স্বজন আল্পনা শুয় রবে
বারমাসী নরম পায়ের তলায়
তখন এসো তুমি-
ঐ পথ ধরে এসো,
ঐ পথে হৃদয়ের পরশ পাথর রেখো।
আনমনে আকাশে ওড়ালে সুরভিত ডানা
মন ভোলা, সাগর মেঘ মাটি ছোঁয়া বাতাস
খেয়ালী দুচোখ রেখো
নতজানু দিগন্ত নীহারিকায়।
দিগন্ত রেখার পথ ধরেই এসো তুমি
যে পথে নিঃশেষ হয়েছে
অমংগলের সব অবশেষ।
বিষন্নতা
বিপদসীমা
বিপর্যয়ের
বছর জোড়া কালোরাত
মরণকালীন আর্তনাদ।
নিশ্চিত কথা দিচ্ছি
করোনা নিশ্চিহ্ন হবে
থাকবে না চিহ্ন অবশেষ।
নাজমা বেগম নাজু, চিকিৎসক, জাতিসংঘের প্রথম নারী কন্টিনজেন্ট ও কবি।