Ads

ইসলামী ব্যাংকিং পেশায় তিন যুগ (১৯৮৪-২০১৯)।। চতুর্থ পর্ব

।। মু. শামসুজ্জামান ।।

১২ আগস্ট ১৯৮৩, দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেনি পেশার বহু সংখ্যক মানুষ উৎসাহ ও উদ্দীপনা সহকারে তখনকার মতিঝিলের মূল সাঁকোতে একটি ছাউনির নিচে জড়ো হয়। তাদের চোখ অশ্রু আর আনন্দে ভরা। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম শরিআহ-ভিত্তিক ব্যাংক – ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের অফিসিয়াল উদ্বোধন হয়েছে। যদিও অপারেশান শুরু হয়েছিলো তারও আগে, ৩০ মার্চ তারিখে।প্রথম হিসাবটি ছিলো ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নামে।সেদিনের জমা ছিলো ৩৫ লাখ টাকা।

সুদমুক্ত ব্যাংক প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশের মানুষের বহু পুরনো প্রত্যাশা। বিশ শতকের ষাটের দশকে মিসরের মিটগামারে প্রথম সুদমুক্ত ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। এর ফলে বাংলাদেশেও এরূপ একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার আন্দোলন সক্রিয় হয়। ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লাহোরে অনুষ্ঠিত ২য় ওআইসির সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে মুসলিম রাষ্ট্রগুলির একটি আন্তর্জাতিক ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সংকল্প হয়। ১৯৭৬ সালে প্রখ্যাত ইসলামি চিন্তানায়ক মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীমের নেতৃত্বে ঢাকায় ইসলামী অর্থনীতি গবেষণা ব্যুরো প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৮ সালের জেদ্দায় ওআইসির অর্থমন্ত্রীর আগস্ট সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু সরকারের অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ আইডিবি সনদে স্বাক্ষর করেন।

১৯৭৯ সালে নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মহসিন দুবাই ইসলামি ব্যাংকের অনুরূপ বাংলাদেশে একটি ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য পররাষ্ট্র সচিবের কাছে লেখা এক চিঠিতে সুপারিশ করেন। এর পরপরই ডিসেম্বর মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং উইং বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিমত জানতে চায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে তৎকালীন গবেষণা পরিচালক এ এস এম ফখরুল আহসান ১৯৮০ সালে ইসলামি ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার জন্য দুবাই ইসলামি ব্যাংক, মিসরের ফয়সাল ইসলামি ব্যাংক, নাসের সোশ্যাল ব্যাংক এবং আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংক সমিতির কায়রো অফিস পরিদর্শন করেন। ১৯৮১ সালে তিনি বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে একটি প্রতিবেদন পেশ করেন।

আরও পড়ুন- ইসলামী ব্যাংকিং পেশায় তিন যুগ (১৯৮৪-২০১৯)।। প্রথম পর্ব

১৯৮০ সালের ১৫-১৭ ডিসেম্বর ইসলামী অর্থনীতি গবেষণা ব্যুরোর উদ্যোগে ঢাকায় ইসলামি ব্যাংকিংয়ের ওপর একটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮১ সালের মার্চে ওআইসিভূক্ত দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের সম্মেলন সুদানের রাজধানী খার্তুমে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে পেশকৃত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। ১৯৮১ সালে এপ্রিল মাসে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে লেখা এক পত্রে পাকিস্তানের অনুরূপ বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর শাখাগুলোতেও পরীক্ষামূলকভাবে পৃথক ইসলামি ব্যাংকিং কাউন্টার চালু করে এ জন্য পৃথক লেজার রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

১৯৮১ সালের ২৬ অক্টোবর থেকে সোনালী ব্যাংক স্টাফ কলেজে ইসলামি ব্যাংকিংয়ের ওপর এক মাস স্থায়ী সার্বক্ষণিক আবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্স অনুষ্ঠিত হয়। এ কোর্সে বাংলাদেশ ব্যাংক, সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বিআইবিএম ও প্রস্তাবিত ঢাকা আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড)-এর ৩৭ কর্মকর্তা অংশ নেন।

১৯৮২ সালে নভেম্বর মাসে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেন। এ সময় তারা বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে যৌথ উদ্যোগে একটি ইসলামি ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় আইডিবির অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে ইসলামি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র প্রস্তুত করার ব্যাপারে ‘ইসলামী অর্থনীতি গবেষণা ব্যুরো’ (আইইআরবি) এবং বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক সমিতি (বিবা) অগ্রণী ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বহুমাত্রিক চেষ্টার ফলস্বরূপ ১৯৮৩ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড নামে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম সুদমুক্ত ব্যাংক প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

১৯৮৩ সালের ২৮ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড নামে বাংলাদেশের প্রথম ইসলামী ব্যাংকের প্রস্তুতিমূলক কাজ করা হয় এবং এ নামেই তখন পর্যন্ত ব্যাংকের সাইনবোর্ড ও প্রচার-পুস্তিকা ব্যবহার করা হয়। আলহাজ্ব মফিজুর রহমান ২৯ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকের প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। এরপর ৩০ মার্চ থেকে এ ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড নামে কার্যক্রম শুরু করে। ব্যাংকের মনোগ্রাম তৈরি করেন শিল্পী ও ক্যালিগ্রাফার সবিহউল আলম। এক্ষেত্রে ১৯জন বাংলাদেশি ব্যক্তিত্ব, ৪টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান এবং আইডিবিসহ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের ১১টি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারি সংস্থা এবং সৌদি আরবের দু’জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় উদ্যোক্তারূপে এগিয়ে আসেন।

এই পটভূমিতে, বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড দেশের প্রথম প্রজন্মের বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসাবে কার্যক্রম শুরু করে। ১৯৮৩ সালে ইসলামী ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন দিবসে দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলার বাণী,Bangladesh Observer ইত্যাদির মতো শীর্ষস্থানীয় দৈনিকগুলি সাড়ম্বরের সাথে অনুষ্ঠান কাভার করে এবং তদানীন্তন চিফ মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর লেঃ জেনারেল এইচ, এম এরশাদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এম নুরুল ইসলাম এবং ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক লস্কর প্রমুখের শুভচ্ছাবানী দিয়ে বিশেষ ক্রোড়পত্র ছাপে।

প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক তার বার্তায় বলেছিলেন: “নতুন ধারণার উপর প্রতিষ্ঠিত এই ব্যাংকটি আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থার পাশাপাশি একটি চ্যালেঞ্জ… .আমি আশা করি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড জাতি গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে যথেষ্ট অবদান রাখতে সক্ষম হবে… এটি মুসলিম দেশগুলির পারস্পরিক সহযোগিতা ও আমাদের দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রবাহকে আরও সম্প্রসারণ করবে। আমি এই ব্যাংকের উজ্জ্বল ভবিষ্যত এবং এই মহৎ প্রচেষ্টাটির জন্য দুর্দান্ত সাফল্য কামনা করছি। ”

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছিলেন: “এই দিনটি, ১৯৮৩ সালের ১২ আগস্ট, যারা এই উদ্দেশ্যে নিবেদিত এবং অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার প্রতীক হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে স্মরণীয় হবে। এই মুহুর্তে, আমি সকলকে তাদের অদম্য সাহস এবং অবিমিশ্রিত বিশ্বাসের জন্য আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছি যা বাংলাদেশকে প্রথম ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মহৎ উদ্দেশ্য অর্জনে সফল করেছে। … ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংকের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ নবনির্মিত এই ব্যাংকে মূল উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ব্যাংকের জন্য ইক্যুইটি প্রদানের মাধ্যমে তার ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে …. সরকার ব্যাংকিংয়ের ইসলামিক পদ্ধতিতে অগ্রগতি সম্পর্কে অত্যন্ত আশাবাদী… আমি বিশ্বাস করি যে উদ্যোগ এবং পরিচালকদের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা শীঘ্রই প্রশংসিত হবে। সরকার এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা ও সহায়তা বাড়িয়ে দেবে।

আরও পড়ুন- ইসলামী ব্যাংকিং পেশায় তিন যুগ (১৯৮৪-২০১৯)।। দ্বিতীয় পর্ব

ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক লস্কর তার বার্তায় বলেছিলেন:“ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ইসলামের অর্থনৈতিক মূলনীতিগুলির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত। আমি আশা করি, এই ব্যাংক জনগণকে সুদভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা থেকে মুক্তি দেবে এবং ইসলামিক চুক্তিভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনা করতে সহায়তা করবে। “

সাপ্লিমেন্টে প্রকাশিত মূল প্রবন্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড.এম.এন.হুদা লিখেছেন: “তাত্ত্বিক লড়াইয়ে ইসলামী ব্যাংকিং জিতেছে। এখন এটি ব্যাংকের সুদমুক্ত লাভ এবং লোকসান ভাগ করে নেওয়ার অপারেশনাল ক্ষেত্রে যুদ্ধে জিততে হবে। আমরা সুদমুক্ত ব্যাংকিংয়ের সামঞ্জস্যকে বিশ্বাস করি। তবুও, এর সাফল্যের প্রত্যাশায় আমাদের কিছুটা সময়ের জন্য অপেক্ষা করা দরকার … আমি আশাবাদী এবং আমি সুদমুক্ত ব্যাংকিংয়ের শ্রেষ্ঠত্বকে বিশ্বাস করি।আমি আশা করি আমরা নিবেদিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই ব্যবস্থাটিকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে যাবো।

ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন নির্বাহী রাষ্ট্রপতি, শিল্পা ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংকের প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী, এম. করিম জাতির প্রতি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে বলেছিলেন: “ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের উত্থান বাংলাদেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। ওআইসির প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নীতিগুলিতে প্রতিষ্ঠিত এই ব্যাংক নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পথ সুগম করবে। দারিদ্র্য, বেকারত্ব, আয়ের বৈষম্য, অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং মুদ্রাস্ফীতিতে পরিচালিত অর্থনৈতিক সমস্যার এক চক্রের ফলে মানবজাতিকে যে অচলাবস্থা থেকে মুক্ত করার জন্য এই নতুন অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা সর্বাত্মক গুরুত্ব বহন করছে … ইসলামী ব্যাংক দেশের মধ্যে পরিকল্পিত শিল্প বিকাশের জন্য কাজ করবে। এই ঘনবসতিযুক্ত, কৃষিনির্ভর ও শিল্প-পশ্চাৎপদ দেশে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প থেকে শুরু করে ভারী শিল্প পর্যন্ত উৎপাদনশীল  উদ্যোগ প্রতিষ্ঠা করবো। আমরা আমাদের কৃষিকে আরও বিকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ নিশ্চিত করার জন্য বেকারত্ব অপসারণ অত্যন্ত প্রয়োজন। সুতরাং ইসলামী ব্যাংকের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো শিল্পায়নের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। ইসলামী ব্যাংক মূলতঃ সরকারের বিনিয়োগ নীতির অগ্রাধিকার দ্বারা পরিচালিত হবে এবং সময়ে সময়ে নিজস্ব বিশেষজ্ঞদের দল দ্বারা গবেষণা কাজ পরিচালনা করবে।”

বলাবাহুল্য যে সেদিনের সে স্বপ্ন বাস্তব হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। মহান আল্লাহর অপার রহমত,উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের নিবীড় পরিচর্যা,একদল নিবেদিত ও সৎ কর্মী বাহিনীর নিরলস পরিশ্রম,জনগনের ইসলাম প্রীতি,নিয়ন্ত্রণ সংস্থাসমূহের সাার্বিক সহযোগীতা ও সরকারের অব্যাহত সমর্থনের ফলে ইসলামী ব্যাংক আজ দেশের সর্ব বৃহত্তম ব্যাংক,বিশ্বে এক হাজার শীর্ষ ব্যাংকের অন্যতম।

আগের পর্ব- ইসলামী ব্যাংকিং পেশায় তিন যুগ (১৯৮৪-২০১৯)।। তৃতীয় পর্ব

চলবে

লেখকঃ  মু. শামসুজ্জামান, সাবেক এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সমাজ,পরিবার ও আত্মউন্নয়ন মূলক অসাধারণ লেখা ও আর্টিকেল পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi এ লাইক দিয়ে ফেসবুকে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন।প্রিয় লেখক! আপনার  পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে-  [email protected]  ও  [email protected] ; প্রিয় লেখক ও পাঠক আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম এ যুক্ত হয়ে আমাদের সাথেই থাকুন ।

আরও পড়ুন