Ads

সব সমস্যা অন্যের সাথে শেয়ার নয়

।। মুফতি মেনক ।।

এক. দু:খিত হওয়া ঠিক আছে। বিপর্যস্ত এবং ক্লান্ত বোধ করাও ঠিক আছে। তবে আপনার সব সমস্যা অন্য মানুষের সাথে শেয়ার না করাই সঠিক। শুধু সর্বশক্তিমানের উপরই আস্থা রাখুন। আপনার মনকে শান্ত করতে, আপনার হৃদয়কে নিরাময় করতে এবং আপনার দুশ্চিন্তা দূর করতে তাঁকে বলুন।

দুই. নিজেকে যতটা সম্ভব রক্ষা করুন কারণ দুষ্ট চোখই আসল। আগে থেকে সতর্ক হোন। অনেকের জন্য, এটি কঠিন হবে কারণ আমরা এমন একটি স্বার্থপর সমাজে বাস করি। আমরা নিজেদের দেখাতে চাই। আমাদের অনেকের মধ্যেই অন্যদের দ্বারা যাচাই ও স্বীকৃত হওয়ার প্রতি লোভ আছে; এমনকি তাদের দ্বারাও যাদের আমরা জানিই না।

তিন. জীবন খুব সংক্ষিপ্ত। এর গভীর আবেগ এবং উদ্দেশ্য নিয়ে বেঁচে থাকুন। রাগকে আপনার নিয়ন্ত্রণ নিতে দেবেন না। আপনার মনে ঘৃণার বংশ বিস্তার করতে দেবেন না। নেতিবাচকতাকে আপনার দিনের ধারাবাহিকতা হতে দেবেন না। আপনার হৃদয়কে সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আপনার অন্তরকে পরিশুদ্ধ করতে সর্বদা সর্বশক্তিমানের সাহায্য প্রার্থনা করুন!

আরও পড়ুন-নিয়ন্ত্রণযোগ্য বিষয়ে ফোকাস করতে শিখুন

পূনশ্চঃ

এক. সর্বশক্তিমান আমাদের জীবনে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে আসেন। দুর্ঘটনাক্রমে কেউ সেখানে আসে না। তিনি আপনার জীবনে যে লোকদের রেখেছেন তাদের সনাক্ত করতে শিখুন এবং তারা যে উদ্দেশ্য পরিবেশন করেন তার প্রতি সংবেদনশীল হন। কেউ চিরকাল থাকবে না। সবকিছুর জন্য একটি সময়, স্থান ও উদ্দেশ্য আছে।

দুই. সর্বশক্তিমান। আমাদের অন্তরকে কোমল রাখুন এবং শক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করুন। আপনার রহমত আমাদের উপর বর্ষণ করুন। যখন আমরা একটি পাপ করি, তখন আমাদের অপরাধবোধ অনুভব করতে দিন যা এর সাথে অন্তরে আসে। আমাদেরকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করবেন না যারা পাপ করে কিন্তু অনুতপ্ত হয় না। আমীন।

তিন. যখন সবকিছু ঠিকঠাক মতো চলছে না, তখন হতাশার গভীরতায় ডুবে থাকা এবং শয়তানকে আপনার মন আচ্ছন্ন করার সুযোগ দেওয়া সহজ। এটি প্রতিরোধ করুন। এর উর্ধে উঠুন, নিজেকে মুক্ত করুন; অশ্রু মুছে ফেলুন। আপনার শক্তির উপর পুনরায় ফোকাস করুন এবং আপনার বিশ্বাসকে পুনরুজ্জীবিত করুন। সর্বশক্তিমান আপনাকে সহায়তার জন্য অপেক্ষা করছেন। এত কিছুর পরেও আপনি সফল হবেন।

আরও পড়ুন- শামস তাবরিজীর উপদেশাবলী

দ্রষ্টব্যঃ

তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আমার নৈকট্য লাভের সহায়ক হবে না। তবে (নৈকট্য লাভ করবে) তারাই যারা বিশ্বাস করে ও সৎকাজ করে এবং তারা তাদের কাজের জন্য পাবে বহুগুণ পুরস্কার। আর তারা প্রাসাদসমূহে নিরাপদে বসবাস করবে। (সূরা আল সাবা: ৩৭);

অবিশ্বাসীরা বলে, ‘আমরা এ কুরআনে কখনও বিশ্বাস করব না, এর পূর্ববর্তী গ্রন্থসমূহও নয়।’ আর তুমি যদি দেখতে, যখন সীমালংঘনকারীদেরকে তাদের প্রতিপালকের সম্মুখে দন্ডায়মান করা হবে, তখন ওরা পরস্পরকে দোষারোপ করতে থাকবে, যারা দুর্বল (অনুসারী) ছিল তারা দাম্ভিক (অনুসৃত) দেরকে বলবে, ‘তোমরা না থাকলে আমরা অবশ্যই বিশ্বাসী হতাম।’ যারা দাম্ভিক (অনুসৃত) ছিল, তারা দুর্বল (অনুসারী)দেরকে বলবে,‘আমরা কি তোমাদের কাছে সৎপথের উপদেশ আসার পর তা গ্রহণ করতে বাধা দিয়েছিলাম? বরং তোমরাই তো অপরাধী ছিলে।’ আর যারা দুর্বল (অনুসারী) ছিল, তারা দাম্ভিক (অনুসৃত)দেরকে বলবে,‘প্রকৃতপক্ষে তোমরাই তো দিন-রাত আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত ছিলে, আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছিলে যেন আমরা আল্লাহকে অমান্য করি এবং তাঁর অংশীদার স্থাপন করি।’ যখন তারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে তখন মনে মনে অনুতপ্ত হবে। আমি অবিশ্বাসীদের গলদেশে বেড়ি পরাব। ওরা যা করত তারই প্রতিফল ওদেরকে দেওয়া হবে। (সূরা আল সাবা: ৩১-৩৩);

আর আমি নিজেকে নির্দোষ মনে করি না, মানুষের মন অবশ্যই মন্দকর্ম প্রবণ, কিন্তু সে নয় যার প্রতি আমার প্রতিপালক দয়া করেন। নিশ্চয় আমার প্রতিপালক অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা ইউসুফ: ৫৩);

অনুবাদকঃ মাসুম খলিলী,  কলাম লেখক ও সাবেক ডেপুটি এডিটর, দৈনিক নয়া দিগন্ত

…………………………………………………………………………………………………………………………

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সমাজ,পরিবার ও আত্মউন্নয়নমূলক অসাধারণ লেখা ও আর্টিকেল পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi  তে লাইক দিয়ে মহীয়সীর সাথে সংযুক্ত থাকুন। প্রিয় লেখক! আপনার  পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে-  [email protected]  ও  [email protected] ; প্রিয় লেখক ও পাঠক আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম এ যুক্ত হয়ে আমাদের সাথেই থাকুন এবং সুস্থ ও সুন্দর সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে সচেষ্ট হই ।

আরও পড়ুন