Ads

বিশ্বজগতের প্রভু নিরাশ করবেন না

।। মুফতি মেনক ।।

এক. আপনার সমস্যা কতটা তা গণনা করতে যাবেন না। নিজের সুবিধাগুলোর কথা ভাবুন। এটি বার বার করুন, আর আপনি বিজয়ী হয়ে উঠবেন। সর্বশক্তিমান আপনাকে প্রয়োজনের সময় শক্তি, বিশৃঙ্খলায় শান্তি, দুঃখে আনন্দ এবং আশাহীনতায় আশা দান করবেন। বিশ্বজগতের প্রভু নিরাশ করবেন না।

দু্ই. আপনার বন্ধুরা সফল হলে আপনি কি বিরক্ত হন? যদি আপনি তা হন, তাহলে আপনার সমস্যা আছে। আপনি আপনার নিজের যাত্রায় পুরোপুরি মনোযোগী নন। আপনি অহংকেও পথ পেতে দিচ্ছেন। অন্যরা কি করছে তা নিয়ে চিন্তা করবেন না। আপনার নিজের কাজ মনে রাখতে শিখুন।

পূনশ্চঃ

এক. আপনার জন্য যে বন্ধুদের আপনি বেছে নিয়েছেন তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। আপনার বন্ধুদের মতামত প্রায়ই অন্যদের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ; এমনকি আপনার পরিবার থেকেও। তাই আপনার বন্ধুদের বিজ্ঞতার সাথে বেছে নেওয়া আপনার প্রয়োজন সর্বোত্তম স্বার্থে। তারা আপনার সফল বা ব্যর্থ হওয়ার কারণ হতে পারে।

দুই. আপনি কী আশীর্বাদ নাকি সমস্যার উপর ফোকাস করবেন সেই পছন্দ আপনার আছে। আপনি যেটি বেছে নিন তা হয় আপনার জীবনে তৃপ্তি অথবা উদ্বেগ ও দুঃখ নিয়ে আসার কারণ। আপনি আশীর্বাদের উপর যত বেশি মনোযোগ দেবেন সর্বশক্তিমান আপনাকে তত বেশি দান করবেন। তিনি একটি কৃতজ্ঞ হৃদয় ভালবাসেন। তাই বিজ্ঞতার সাথে বাছাই করুন।

তিন. আমরা ভাবি যে, আমাদের সমস্যা কখনই ভালো হবে না। এটাই আমাদের মূল সমস্যা। আমাদের বিশ্বাসে ঘাটতি রয়েছে। সর্বশক্তিমানের প্রতি আমাদের আস্থার অভাব রয়েছে। আমাদের কী এমন ঘটেছে যে সমস্যা হওয়ার আগেই তিনি আমাদের সমাধানের জন্য উপায় করে ফেলেছেন?

চার. আপনি কি মনে করেন যে আরও ভাল পথ অনুসরণ করার চেয়ে আপনি এখন যেখানে আছেন সেখানে থাকা সহজ? ভয় আপনার মধ্যে এই অনুভব এনে দেয়। আপনার প্রতিরোধকারীরা আশা করেন এভাবেই তারা আপনাকে থামিয়ে দেবেন। কিন্তু স্থির করে রাখা পদক্ষেপ আপনাকে কিছুই এনে দেবে না। বিশ্বাসে বলিয়ান হোন। আপনার যা করা দরকার তা শুরু করুন! সর্বশক্তিমান আপনার পিছনে আছেন!

আরও পড়ুন-ইহুদিদের ‘নিপীড়ক’ হিসাবে দেখছে তরুণ আমেরিকানরা!

পাঁচ. আপনি যেখানেই যান সদাচরণের পথে থাকুন। মানুষকে অনুপ্রাণিত করুন। তাদের আশাবাদি করুন। প্রেরণা এবং উত্সাহ দিন। তাদের মধ্যে এমন বিশ্বাস সৃষ্টি করুন যে আরও ভাল দিন এগিয়ে আসছে, ঝড় কেটে যাবে। ইতিবাচকতার শক্তিটিকে কখনই অবজ্ঞা করবেন না। ভাল কাজের ঢেউ ছড়িয়ে দিন এবং একটি পার্থক্য রচনা অব্যাহত রাখুন।

ছয়. আসুন আমরা নিষ্ঠাবান হই। আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। আমরা চিন্তিত হই প্রতিদিন। তবে আসুন, আমরা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে যে বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তা করি সেইগুলি দিয়ে নিজেদের উপর চাপ সৃষ্টি বন্ধ করি। সর্বশক্তিমান আমাদের জীবনের প্রতিটি বিষয় জানেন। জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তিনি আমাদের প্রয়োজনীয় উপকরণে সুসজ্জিত করেছেন। এটি হলো ধৈর্য, কৃতজ্ঞতা এবং বিশ্বাস। এসবকে আলিঙ্গন করুন!

সাত. সর্বশক্তিমান। আমাদের বিনীত, হৃদয়গ্রাহী প্রার্থনা শুনুন – এমন একটি বিশ্বের জন্য যা দ্রুত ভেঙে পড়ছে, যারা ভেঙে পড়েছে এবং আহত হয়েছে, যাদের এখন আর বাড়ি নেই এবং যারা প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাদের জন্য। আমরা প্রার্থনা করছি আরাম ও স্বস্তির জন্য। আমীন।

দ্রষ্টব্যঃ

আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব তাঁরই; তিনি জীবন দান করেন ও মৃত্যু ঘটান; তিনি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। তিনিই আদি, অন্ত, ব্যক্ত ও গুপ্ত এবং তিনি সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত। তিনিই ছয় দিনে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর আরশে সমাসীন হয়েছেন। তিনি জানেন যা কিছু ভূমিতে প্রবেশ করে ও যা কিছু তা হতে বের হয় এবং আকাশ হতে যা কিছু নামে ও আকাশে যা কিছু উত্থিত হয়। তোমরা যেখানেই থাক না কেন, তিনি তোমাদের সঙ্গে আছেন, তোমরা যা কিছু কর, আল্লাহ তা দেখেন। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব তাঁরই, আর আল্লাহরই দিকে সব বিষয় প্রত্যাবর্তিত হবে। (সূরা আল হাদীদ: ১-৫)

অনুবাদকঃ মাসুম খলিলী,  কলাম লেখক ও প্রাক্তন ডেপুটি এডিটর, দৈনিক নয়া দিগন্ত

 

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সমাজ,পরিবার ও আত্মউন্নয়ন মূলক অসাধারণ লেখা ও আর্টিকেল পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi এ লাইক দিন।প্রিয় লেখক!আপনার  পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে-  [email protected]  ও  [email protected] ; প্রিয় লেখক ও পাঠক আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম এ যুক্ত হয়ে আমাদের সাথেই থাকুন ।

আরও পড়ুন