Ads

চির ভাস্বর শাশ্বত এক মহালয়

নাজমা বেগম নাজু

এখানে পাখিদের ডানায় ঝরে রোদেলা উচ্ছাস,
কাক ভোরে জেগে ওঠা আকাশে মেশে
দোলায়িত নদির কথন।
প্রশ্ন করলে সুদীপ্ত চিৎকারে বলে—
আমি এক বাংলাদেশ!

পৃথিবীর মানচিত্রে একাই একশ হয়ে দাঁড়িয়ে,থাকা
আদি অন্ত পতাকা এক।
অন্তহীন সবুজ ঘিরে থাকা লালের মাঝে
যার রয়েছে এক কালান্তরী ইতিহাস।

নাক্ষত্রিক সীমানার আকাশ হতে জন্ম নেয়া
এক চির বহমান স্রোতসিনী
যে স্রোতে মিশে আছে হাজারো জলসম্ভারের মত
অমর শহীদের নিশ্বাস
প্রিয় জীবনের শত কোটি নির্যাস।
এখানে ভাঙনের বেলাভূমে নতুন জনপদ গড়ে
উত্তাল ঢেউয়ের অবকাশ,
যে জনপদে প্রমত্ত ঘূর্ণি শেষে নোঙর ফেলে
চির শান্তির বিনম্র ফসলের দেশ।
বাংলাদেশের সহস্র উঠোনে জ্বলে
সবুজস্নাত মংগল প্রদীপ।
মেঘদূত নেমে এসে আকাশ- মুখী প্রদীপের
ধোয়ায় মেশে।
শ্রাবনের মেঘালয় অশেষ অহংকারে বলে
বাংলাদেশের বুনো বরষা আমি,
স্বর্গের চূড়া হতে এনেছি যে জলকণা যত
এনেছি অযুত নিযুত অনিমেষ গোলাপরঙা মেঘ
সাতবআকাশের উত্তাল হৃদয় ধ্বণি।
নশ্বর পৃথিবীর মাঝে অবিনশ্বর
কদম তমাল হিজলের বাংলাদেশের গান
কান পেতে শোনে জাগরুক তারার আকাশ।
মগ্ন সে সুরের প্রত্যয় দীপ্ত কলতান
বাতাস আবারো পৌঁছে দেয় পৃথিবীর কানে।
জেগে ওঠে মানবতা,
স্বদেশবপ্রেমের সুমগ্ন হৃদয় লতা,
অবনত শ্রদ্ধায় মানচিত্র আঁখি মেলে।
মহাকাল লিখে যার নাম পৃথিবীর অমর পাতায়—
সে তেো শুধু বাংলাদেশের নাম,
মহাবিশ্বের মহান সে এক দেশ–
লক্ষ শহীদের রক্তের দামে কেনা
চির ভাস্বর শাশ্বত এক মহালয়।

কবিঃ প্রথম নারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, জাতিসংঘের প্রথম কন্টিনজেন্ট নারী কমান্ডার ও লেখক 

আরও পড়ুন-

আমি কেন লিখি

আরও পড়ুন