Ads

যে ১০ টি কারনে প্রতিদিন বই পড়া উচিত

যদি আপনি প্রতিদিন বই না পড়ে থাকেন তাহলে এই লেখাটি পড়ার পর থেকে আজই বই পড়া শুরু করে দিন। কারন, বই কেন পড়া উচিত সে বিষয়ে এখানে দশটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যা প্রতিটি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই চলুন দেরী না করে বই পড়ার উপকারিতা গুলো জেনে নেওয়া যাক-

১. স্মার্ট হতে বই পড়ুন

প্রতিটি মানুষ অন্যের থেকে স্মার্ট এবং আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্বের হতে চায়। আপনি আসলে দেখতে কেমন তাতেই স্মার্টনেস প্রকাশ পায় না, আপনার বুদ্ধিমত্তা ও ব্যক্তিত্বের উপর স্মার্টনেসর প্রকাশ পায়। বই পড়ার অভ্যাস আপনাকে সবসময় সমৃদ্ধ করছে বিভিন্ন বিষয়ের জ্ঞান দ্বারা। তাতে করে আপনি স্মার্ট হচ্ছেন এবং এগিয়ে যাচ্ছেন অনেকের থেকে। আমরা সবাই জানি, জ্ঞানই একমাত্র সফলতার চাবিকাঠি। কারন জ্ঞান সফলতার পথকে প্রশস্ত করে। সুতরাং, বইপড়ার মাধ্যমে আপনি সবদিক থেকে স্মার্ট হতে পারবেন এবং আপনার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারবেন।

২. জ্ঞানকে সমৃদ্ধিশালী করে

বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন বই যখন আপনি পড়তে থাকবেন তখন আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি হবে। এবং এই সমস্ত জ্ঞান আপনার জীবনে সর্বদা কাজে লাগবে। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে চলার জন্য বই পড়ে জ্ঞান বৃদ্ধি করা একান্ত জরুরী। এই সকল জ্ঞান আপনার ক্যারিয়ারেও ভালো প্রভাব ফেলবে।

৩. একাগ্রতা বৃদ্ধি করে

বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে সবাই এখন ব্যস্ত হাতের মোবাইল নিয়ে। প্রতি ৫ মিনিট অন্তর দেখা যায় আপনি বিভিন্ন অ্যাপ এর নোটিফিকেশন চেক করায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। এমন কি কাজ করার সময়ও হয়তো আপনি ম্যাসেজের রিপ্লাই দিচ্ছেন। এতে করে আপনার কাজের প্রোডাক্টিভিটি কমে যাচ্ছে। অথচ আপনার যদি নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে আপনার নির্দিষ্ট কাজের একাগ্রতা বৃদ্ধি পাবে। এবং আপনি যেকোনো কাজে মনোযোগী এবং প্রোডাক্টিভ হতে পারবেন।

আরও পড়ুন- পরীক্ষার জীবন জীবনের পরীক্ষা

৪. শব্দ ভান্ডার বাড়ায়

বই পড়ার কারণে আমাদের মধ্যে নতুন নতুন শব্দ ভান্ডার এর সৃষ্টি হয়। কোন নির্দিষ্ট জায়গায় কথা বলার সময় এই সমস্ত শব্দ ভান্ডাগুলি আমাদের চরিত্রের বিকাশ ঘটায়। এই কারণেই বই পড়লে আমাদের একটি সুন্দর চরিত্রের সৃষ্টি হয়।

৫. স্মৃতিশক্তি উন্নত করে

বই পড়ার কারণে আপনার মনে নতুন নতুন চরিত্রের সৃষ্টি হয়। যেটি আপনার মস্তিষ্কের শক্তিকে উন্নত করে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।

৬. মানসিক চাপ কমায়

আপনার জীবনে যেকোনো সমস্যা থাকতে পারে যা মানসিক চাপের কারণ । হতে পারে- কর্মস্থলে, ব্যক্তিগত জীবনে অথবা সম্পর্কের মাঝে। তবে যাই থাকুক না কেন, সবকিছুই হালকা হয়ে যাবে যদি আপনি চমৎকার কোনো বই পড়া শুরু করেন। কারণ, গল্পের বিভিন্ন প্লট আপনাকে চিন্তার ভিন্ন জগতে নিয়ে যাবে। আপনিও হয়ে পড়বেন দুশ্চিন্তা মুক্ত।

৭. কল্পনা শক্তি বাড়ায়

বই পড়ার সময় প্রত্যেকটি মানুষের কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি পায়। যেটি মানুষের মনে নতুন নতুন ধারণা সৃষ্টি করে। যখন আপনি কোন গল্প বা উপন্যাস পড়েন তখন আপনি দেখবেন আপনার মনে নির্দিষ্ট গল্পটি সম্পর্কে একটি ছবি আঁকা হয়ে যায়। এবং আপনার কল্পনাশক্তি বলতে থাকে গল্পটা ঠিক কেমনভাবে শেষ হবে। এবং যখন শেষ হয় তখন এটি পুরো অন্যভাবে শেষ হয়। যার কারণে আপনার মনে কৌতুহল বাড়ে। এই জন্য নিজের কল্পনা শক্তি ও কৌতূহল বৃদ্ধি করার জন্য বই পড়া উচিত

আরও পড়ুন- আসক্তির অন্তরালে ডোপামিন হরমোন !

৮. একাকিত্বের সঙ্গী হয়

একাকীত্ব দূর করার জন্য বই সব থেকে ভালো উপায়। আজকালকার দিনে মোবাইল ফোনকে সবাই সঙ্গী করে নেয়। কিন্তু যদি আপনি মোবাইলের মধ্যে বই পড়া শুরু করেন, তাহলে আপনার জীবনের একঘেয়েমি চলে যাবে এবং আপনি একজন ভালো বন্ধু খুঁজে পাবেন। নিজের মনকে শান্ত করতে এবং মনের মধ্যে নতুন শক্তি যোগাতে আপনিও বই পড়া শুরু করুন।

৯. অনুপ্রেরণা দেয়

আপনার জীবনে সবথেকে বেশি অনুপ্রেরণা যদি কেউ দিয়ে থাকে তা হলো বই। যদি আপনি আপনার জীবনে ভিন্ন কিছু বা বড় কিছু করতে চান, তাহলে সেই অনুপ্রেরণা আপনি বই থেকে নিতে পারেন। যেকোনো কিছু ইতিবাচক চিন্তা করা এবং নতুন কিছু চেষ্টা করার জন্য বই অত্যন্ত উপকারী। আপনি বই থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করতে সফল ব্যক্তিদের জীবনী এবং তাদের ব্যর্থতার স্টোরি পড়তে পারেন।

১০. লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি করে

আপনি যখন বিভিন্ন লেখকের বিভিন্ন বিষয়ের উপর বই পড়েন, তখন আপনার ভেতরে ভাষাতত্ত্বের বিকাশ হয়। সে কারণে উন্নত শব্দ এবং সুন্দর করে ভাষা প্রয়োগের আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পায়। যা বাস্তব জীবনে শিক্ষাক্ষেত্রে, কর্মস্থলে বা কোথাও বক্তৃতা দেয়ার ক্ষেত্রে নিজের উপস্থাপনকে অনেক স্মার্ট করে তুলবে। যার কারনে অন্যের নিকট আপনার ভাষার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে, নেটওয়ার্কিংয়ে কাজে লাগবে এবং আপনি হয়ে উঠবেন জনপ্রিয়।

আপনি যদি নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলেন তবে আপনি নিজেকে উন্নত করার সিড়িতে পা রাখলেন। আপনি শুরু না করা পর্যন্ত এটি বিরক্তিকর বলে মনে হতে পারে, কিন্তু একবার অভ্যাসটি নিশ্চিত করে ফেললে- নিজেকেই এই অভ্যাসের জন্য ধন্যবাদ জানাবেন।

তথ্যসূত্রঃ লাইফহ্যাক, ইঞ্চস্মার্টার

মহীয়সীর প্রিয় পাঠক ! সমাজ,পরিবার ও আত্মউন্নয়ন মূলক অসাধারণ লেখা ও আর্টিকেল পড়তে মহীয়সীর ফেসবুক পেজ মহীয়সী / Mohioshi এ লাইক দিন।

প্রিয় লেখক ! আপনার  পছন্দের লেখা পাঠাতে পারেন আমাদের ই-মেইলে-  [email protected]  ও  [email protected]

প্রিয় লেখক ও পাঠক আমাদের ফেসবুক গ্রুপ মহীয়সী লেখক ও পাঠক ফোরাম এ যুক্ত হয়ে আমাদের সাথেই থাকুন ।

আরও পড়ুন-

প্রতিদিন কেন বই পড়বেন?

 

আরও পড়ুন